IIM Joka Incident: IIM জোকায় মনোবিদকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়, পুলিশের নজরে এবার অভিযুক্তের ইনস্টা প্রোফাইল
IIM Joka Incident Update: ধৃতের মানসিক সমস্যার পুরনো কোনও রেকর্ড রয়েছে ? জোকা কাণ্ডে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছে হরিদেবপুর থানায়

আবির দত্ত, কলকাতা: জোকা IIM-এ ধর্ষণের অভিযোগ, এবার পুলিশের নজরে অভিযুক্তের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল। অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছে হরিদেবপুর থানায়। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে ধৃতের মানসিক সমস্যার পুরনো কোনও রেকর্ড রয়েছে কিনা ? এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে তরুণী মনোবিদকে কাউন্সিলিংয়ের কথা বলে, কেন ক্যাম্পাসে ডেকেছিলেন অভিযুক্ত ? জোকা IIM ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। ইতিমধ্য়েই ১ জন ACP-র নের্তৃত্বে SIT গঠন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছে পুলিশ। সূত্র মারফত খবর, রাস্তায় লাগানো CC ক্যামেরার ফুটেজে তরুণীকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। ক্যাম্পাসের কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন তরুণী, জানতে চায় পুলিশ। তরুণী মনোবিদকে কে নিয়ে গিয়েছিলেন, জানার চেষ্টা পুলিশের। হস্টেলের যে ঘরে নির্যাতনের অভিযোগ, সেই রুম সিল করেছে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নুমনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ।ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের পোশাক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃত ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার মেডিকো লিগাল টেস্ট করানো হবে বলে সূত্র মারফত খবর।
কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে, গত কয়েক দিন ধরেই উত্তাল রাজ্য। এরই মধ্যে, কলকাতায় আরও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।২৫ জুনের পর ১১ জুলাই। এবার দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,জোকার ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম পরমানন্দ মহাবীর তোপ্পাঁওয়ার। বছর ২৬-এর যুবক কর্ণাটকের বালিকোট জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে দাবি,নির্যাতিতা বয়ানে জানিয়েছেন, তিনি পেশায় মনোবিদ। অভিযুক্তর সঙ্গে তাঁর সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হয়।পরিকল্পনা করেই, সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংয়ের জন্য শুক্রবার তাঁকে ক্যাম্পাসে ডাকেন অভিযুক্ত পড়ুয়া। বেলা পৌনে ১২টার সময় জোকার IIM-এ যান ওই তরুণী।পুলিশ সূত্রে দাবি,নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, তাঁকে ক্যাম্পাসের লেক ভিউ হস্টেলে নিজের ১৫১ নম্বর রুমে নিয়ে যান ওই ছাত্র। দুপুরে তরুণীকে পিৎজা ও জল খেতে দেওয়া হয়। তা খেয়েই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন ওই তরুণী। নির্যাতনে বাধা দিলে তাঁকে মারধর করা হয়। এরপর তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চলে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর,বয়ানে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, রাত ৮টা ৩৫-এ জ্ঞান ফিরলে দেখতে পান তিনি অভিযুক্তের হস্টেলের ঘরেই পড়ে আছেন। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা নির্যাতিতা অভিযুক্তর হস্টেল রুমেই ছিলেন। এই ঘটনায় নির্যাতিতা হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।এরপরই গ্রেফতার করা হয় ছাত্রকে।






















