Mithun Chakraborty: এবার কোন ভূমিকা বঙ্গ রাজনীতিতে, প্রশ্ন এড়ালেন মিঠুন চক্রবর্তী
Mithun Chakraborty In Kolkata: কলকাতায় মিঠুন চক্রবর্তী। হোটেলে কিছুক্ষণ থেকে সোজা চলে গেলেন রাজ্য বিজেপি দফতরে। সেখান থেকেই সাংবাদিক সম্মেলন। কী বললেন তিনি?
দীপক ঘোষ, কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে কি ফের সক্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী (mithun chakraborty)?
সরাসরি কোনও উত্তর দিলেন না। তবে রাজ্য বিজেপি দফতরে (state bjp office) সোমবার তাঁর সাংবাদিক বৈঠক (press conference) থেকে রাজনৈতিক মহল মোটামুটি নিশ্চিত, পঞ্চায়েত ভোটের (panchayat election) আগে মিঠুনকে নতুন দায়িত্ব দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। অভিনেতা নিজেও বললেন, 'অনেক কিছু রয়েছে। সব বলা যাবে না। বিজেপির (bjp) বাকি কর্মীদের মতোই আমিও এক জন। দিল্লি থেকে যা বলবে, করব।' সঙ্গে সংযোজন, কিছু কথা ইতিমধ্যে হয়েছে। কিছু কাজও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে সেটা কী তা নিয়ে মুখে কুলুপ তারকা রাজনীতিবিদের।
বিজেপির ফলাফলে 'খুশি' মিঠুন
শেষ বিধানসভা ভোটের প্রচারে মিঠুন বলেছিলেন, 'আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোরাও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।' কিন্তু একুশের বঙ্গযুদ্ধে বিজেপির হারের পর আর সেভাবে রাজ্য রাজনীতির আঙিনায় তাঁকে দেখা যায়নি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হলে মিঠুন জানান, অসুস্থ ছিলেন। তাই বিরতি। তবে বিজেপির ফলাফল নিয়ে তিনি মোটেও আশাহত নন। অভিনেতার কথায়,'আমি খুব খুব খুশি।...এটা একটা বিজ্ঞান। বিজেপি ২ থেকে ৭৭-এ পৌঁছেছে। একবারে বাজিমাত হয়ে যাবে নাকি?হতেও পারত। বিজেপি নিজের একটা জায়গা তৈরি করেছিল। আর আমি শুধু নীতি নিয়ে কথা বলি।'
বঙ্গযুদ্ধের ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যে দলের সংগঠনে যে চিড় ধরা পড়েছে, সেটা একের পর এক ঘটনায় স্পষ্ট। বহু দলীয় কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন বলে জল্পনা বিজেপির অন্দরেই। মিঠুনের গলাতেও কিছুটা সেই সুর শোনা গেল। বললেন,'মনে হয়েছে দলের মধ্যে নেতাকর্মীরা আরও একটু উৎসাহ পেলে ভালো হত। তবে এবার মনে হয় উৎসাহ বাড়বে।' কীসের ভিত্তিতে এমন পূর্বাভাস? তবে কি নির্দিষ্ট কোনও বার্তা পেয়েছেন তিনি?সযত্নে এড়িয়ে গেলেন সে প্রসঙ্গ।
'কড়া বার্তা নয়' তৃণমূলকে...
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন তৃণমূল শিবিরের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিতে শোনা যায়নি অভিনেতা-রাজনীতিবিদকে। ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, যে কোনও প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করা হোক না কেন, কিছুটা ছিল রক্ষণাত্মক ছিলেন মিঠুন। এমনকী তৃণমূল-সরকারের মেয়াদ নিয়ে পূর্বাভাসেও মন্তব্য করলেন না।
তবে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ শোনাল তাঁকে। সংবাদমাধ্যম কি সব ঘটনার যথাযথ রিপোর্টিং করেছে, ক্ষুব্ধ প্রশ্ন তাঁর।
লক্ষণীয় বিষয় হল, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে বাংলার প্রতিনিধি যে কজন রয়েছেন তার অন্যতম মিঠুন। আর রবিবারই হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষ করেছে বিজেপি। ঠিক তার পর অভিনেতা রাজনীতিবিদের কলকাতায় আসা, রাজ্য বিজেপি দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন এবং রাখঢাক রেখে প্রশ্নের উত্তর। তিন দিক খেয়াল করেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মিঠুনের নতুন অবতার এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন:স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রায় ৭ ঘণ্টা লুকিয়ে রইল এক সন্দেহভাজন, কে এই হাফিজুল মোল্লা?