(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Madhyamik 2024:'দায়িত্বজ্ঞানহীন', মাধ্যমিকের সময়সূচি নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য হাইকোর্টের
Calcutta High Court:মাধ্যমিকের সময়সূচি নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ না করেও 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: মাধ্যমিকের সময়সূচি (Madhyamik Examination Schedule 2024) নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ না করেও 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu On Madhyamik Exam Schedule 2024)। মাধ্যমিকের সময়সূচি পিছনোর আর্জি নিয়ে দায়ের করা মামলায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। আদালত ফের সময় পরিবর্তন করলে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়বে, মত বিচারপতি বসুর। তবে সঙ্গে মন্তব্য, সময় পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত নয়। রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত 'দায়িত্বজ্ঞানহীন', বলেও জানান বিচারপতি।
প্রেক্ষাপট...
সপ্তাহখানেক আগেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের বিষয়টি জানায় সংশ্লিষ্ট বোর্ড। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগোয় ২ ঘণ্টা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগোয় ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। সকাল ১১.৪৫ মিনিটের বদলে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯.৪৫ মিনিটে। উচ্চমাধ্যমিক শুরু বেলা ১২টার পরিবর্তে সকাল ৯.৪৫ মিনিটে। তবে পরীক্ষার দিন অপরিবর্তিত থাকছে বলেও জানানো হয়। সূত্রের খবর, নবান্নে রাজ্য প্রশাসন ও পর্ষদ-সংসদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা এগিয়ে আনা নিয়ে একাধিক যুক্তি দেখানো হয়। কিন্তু সময় বদলের এই সিদ্ধান্ত কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলা হয়। তিনি জানিয়ে দেন, এই পর্যায়ে মামলাটিতে তিনি হস্তক্ষেপ করছেন না। কারণ, একবার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই সময় বদলেছে। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে যদি সেই সময় আর এক বার বদলাতে হয়, তা হলে পরীক্ষার্থীরা অসুবিধায় পড়তে পারেন। তবে সময় বদলের যে সিদ্ধান্ত রাজ্য নিয়েছে, তা যুক্তিযুক্ত নয় বলেও মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এই সিদ্ধান্ত 'দায়িত্বজ্ঞাহীন' বলেও জানান তিনি।
কড়া পদক্ষেপ...
বস্তুত, সময় এগিয়ে আনার পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ মোকাবিলায় আরও কিছু ব্যবস্থা নেয় বোর্ড। গত কয়েক বছর ধরে সামনে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এসেছে । পরপর কয়েকবছর ধরেই এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনা কার্যত আঙুল তুলে দিয়েছে ব্যবস্থার দিকে। তাই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত। এই পদ্ধতিতে কোনও প্রশ্নপত্রের ছবি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বেরোলেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্রটি কোন পরীক্ষার্থীর তা ধরে ফেলা যাবে। আগেই জেলার শতাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিটি প্রশ্নপত্রে একটি করে ‘স্বতন্ত্র কোড’ থাকবে বলে জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেই ওই ইউনিক কোড দেখে পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। পরীক্ষা চলাকালীন নজরদারি চলবে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে। এমনকী পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ঢোকার ক্ষেত্রেও রয়েছে নিষেকধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন:অবাধে চাষের জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ, মাটি মাফিয়াকে তাড়া করলেন ক্ষিপ্ত চাষিরা
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI