Kasba News:'ষড়যন্ত্রের' তত্ত্ব মনোজিতের আইনজীবীর, রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারক, কসবাকাণ্ডের শুনানিতে আজ কী হল কোর্টে ?
Kasba Incident Alipore Court Hearing : ১০ দিনের হেফাজতে চাইল সরকার, কিন্তু বিচারক এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি, কসবাকাণ্ডে কী কী হল আজ আদালতের ভিতরে ?

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: 'পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের সঙ্গে ডিজিটাল এভিডেন্স...সব মিলে যাচ্ছে', গণধর্ষণকাণ্ডে মনোজিৎদের ফের হেফাজতে চেয়ে সওয়াল সরকারের। 'নির্যাতনের সময় অসুস্থ, ইনহেলার এনে সুস্থ করে আবার অত্যাচার।এতটাই বেপরোয়া ছিল অভিযুক্তরা', কোর্টে বললেন সরকারি আইনজীবী।'আরও কিছু মিলিয়ে দেখা প্রয়োজন', ১০ দিনের হেফাজতে চাইল সরকার। জামিনের আবেদন না করলেও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব মনোজিতের আইনজীবীর। আলিপুর আদালতে শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারক।
আরও পড়ুন, 'ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটলেই গেল গেল রব..', মন্তব্য বিতর্কে কসবাকাণ্ডের যোগ এড়ালেন মানস ভূঁইয়া
১০ দিনের জন্য চারজনকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু বিচারক এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। কী কী হল আদালতের ভিতরে ? এবিপি আনন্দ-কে আইনজীবী চন্দন কুমার সাহা জানালেন, অভিযুক্তদের (ধৃত তিন জন) তরফ থেকে কোনও বেল পিটিশন কোর্টে করা হয়নি। ওনাদের উকিলবাবুরা যে পিটিশনটা করেছেন, At that time of interrogation যেনও ওদের উকিলরা যেনও উপস্থিত থাকতে পারেন। এই মর্মে ওরা উকিলবাবুদের নাম দিয়েছিল কোর্টের কাছে। চতুর্থত যিনি সিকিউরিটি গার্ড, তার হয়ে একটা বেল পিটিশন করেছিল, তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, তিনি এর মধ্যে নেই। তিনি শুধুমাত্র গার্ড। কোর্ট সেটা শুনেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোর্ট কোনও অর্ডার দেয়নি। কিন্তু ওরা যেটা চাইছে, At that time of investigation যেনও ওদের উকিলবাবুরা কোর্টে থাকতে পারে।
অভিযোগকারিণীর বয়ানের সঙ্গে পারিপার্শ্বিক তথ্য়প্রমাণ হুবহু মিলে যাচ্ছে। ঘটনাক্রম থেকেই বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্তরা কতটা বেপরোয়া ছিল। এই সওয়ালে ভর করেই, মনোজিৎ মিশ্র-সহ কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মঙ্গলবার ধৃত চারজনকে ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী। তিনি এদিন আদালতে বলেন,অভিযোগকারিণীর যে বয়ান, তার সঙ্গে ইলেকট্রনিক এভিডেন্স অর্থাৎ সিসি ক্য়ামেরার ফুটেজ, মোবাইলের ভিডিও মিলে যাচ্ছে। অভিযুক্তদের ফের ঘটনাস্থলে নিয়ে যেতে হবে। পারিপার্শ্বিক তথ্য়প্রমাণ আরও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি অপরাধের বীভৎসতা বোঝাতে সরকারি আইনজীবী আদালতে বলেন,অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁর ওপর এক দফা নির্যাতন চালানো হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে, ইনহেলার কিনে, তাঁকে দিয়ে, সুস্থ করে, ফের যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্তরা কতটা বেপরোয়া ছিল। ইতিমধ্য়ে সেই ইনহেলারের বিলও এবিপি আনন্দর হাতে এসেছে। এবার আদালতেও সেই প্রসঙ্গ তুললেন সরকারি আইনজীবী।





















