SSC Scam: ধৃত প্রসন্নকে নিয়ে যাওয়া হল আলিপুর আদালতে, সিবিআই স্ক্যানারে ২ মিডলম্যান
Prasanna in Court: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়কে নিয়ে যাওয়া হল আলিপুর আদালতে ।সূত্রের খবর, প্রদীপের মুখোমুখি প্রসন্নকে বসিয়ে করা হতে পারে জেরা।
কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়কে (Prasanna kumar Roy) নিয়ে যাওয়া হল আলিপুর আদালতে (Alipore Court)। অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগ-কর্তাদের যোগাযোগ করিয়ে টাকা নেওয়ায় অভিযুক্ত প্রসন্ন। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে প্রসন্নকে। মূলত ধৃত মিডলম্যান প্রদীপ সিংহকে জেরা করেই প্রসন্নকুমারের খোঁজ মিলেছে, খবর সিবিআই সূত্রে। প্রসন্নকে হেফাজতে চায় সিবিআই। সূত্রের খবর, সল্টলেকে ভাড়াগাড়ির সংস্থা চালাতেন প্রসন্নকুমার রায়।
উল্লেখ্য, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি গ্রেফতার হন প্রদীপ সিংহ। আর তাকে গ্রেফতার করার পরেই বৃহস্পতিবার তার সল্টলেকের অফিসে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা চলে টানা তল্লাশী। জিডি ব্লকের ২৫৩ নং বাড়ি যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্ত সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই অফিসে আসতেন প্রদীপ সিংহ (Pradip Sinha) । সিবিআই সূত্রে খবর, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়েও দিয়েছিলেন। আরও কারা এখানে জড়িত রয়েছে, কীভাবে এই নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআই-র আইনজীবী বলেন, প্রদীপ মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন।অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসসি-র নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগা করতেন প্রদীপ। অনেকগুলি ইমেল আইডি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। কার কথায় তালিকা তৈরি করা হত ? কে নির্দেশ দিতেন ? আর কারা কারা যুক্ত রয়েছেন ? তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
ধৃত মিডলম্যান প্রদীপ সিং-কে (Pradip Singh) জেরা করেই মূলত খোঁজ মেলে প্রসন্নর।সূত্রের খবর, প্রদীপের মুখোমুখি প্রসন্নকে বসিয়ে করা হতে পারে জেরা। প্রদীপের সঙ্গে কথা হয়েছে, এরকম ৫ টি ফোন নাম্বার পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই-র আইনজীবী আরও বলেন, নাকতলায় পার্থ-র বাড়ির কাছে একটি কম্পিউটার সেট আপ ছিল। সেটা প্রদীপ চালাতেন। সেখান থেকে প্রচুর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যেমন ইমেল আইডি, যোগ্য নয় এমন প্রার্থীদের নামের তালিকা ও ফোন নাম্বার। singh1988pradip@gmail.com এই ইমেল থেকেই সবথেকে বেশি নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। প্রদীপ সিং এই ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ধৃত শান্তিপ্রদসাদের ফোনে প্রদীপ সিং-র নাম ছোটু বলে সেভ করা ছিল। প্রদীপের ডাক নাম ছোটু। দুজনের কখোপকথনও হোয়াটসআপে হাওয়া গিয়েছে। ধৃত প্রদীপ সিংকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত 'মিডলম্যান'-কে জেরা করে নয়া তথ্য পেল সিবিআই অফিসারেরা। কার কার চাকরি করতে হবে, জানিয়ে এসপি সিনহাকে মেল মিডলম্যান প্রদীপ সিংহের। অ্যাডমিট কার্ডের নম্বর ধরে অযোগ্য প্রার্থীদের খোঁজে সিবিআই। চাকরি পেতে কত টাকার লেনদেন ? কীভাবে হত লেনদেন ? , তদন্তে সিবিআই। সূত্রের দাবি, ধৃত প্রদীপ সিংহ একজন দালাল। টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে নিউটাউন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। CBI সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রদীপের। তাঁকে জেরা করে এই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছন সম্ভব হবে।