TET Scam : 'মাথাগুলি পার পেয়ে যাবে মোদি-দিদির বোঝাপড়ায় ?' টেট-দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন শমীকের
Samik Lahiri on TET Scam : প্রাথমিক টেট-দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর । টেট-দুর্নীতি মামলায় এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বামেদের বর্ষীয়ান নেতা শমীক লাহিড়ি।
কলকাতা: দুর্নীতি মামলায় (Scam) জল গড়াল অনেকদূর। প্রাথমিক টেট-দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mandal ) জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর (CBI)। মানিক-তাপস যোগসাজশ নিয়ে তদন্ত সিবিআই-এর। ইডির পর আজ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তাপস। তাপসের দাবি, তিনি যা করেছেন, মানিকের নির্দেশেই করেছেন। টেট-দুর্নীতি মামলায় এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বামেদের বর্ষীয়ান নেতা শমীক লাহিড়ি (Samik Lahiri)।
এদিন শমীক লাহিড়ি বলেন, 'এযে বিপুল টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে সঞ্চয় করেছে, এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। ওর সম্পদের পরিমাণ দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু এর ভাগ আর কে কে পেলো ? সিবিআই সেদিকে দেখছে না কেন ? কে আটকে রেখেছে সিবিআইকে ? আদালতও তো বলেন মাথাটাকে ধরুন। কান ধরে টানা টানাটানি চলছে কেন, এই নাটক কত দিন ধরে চলবে ? আর যাদের নির্দেশে এত বড় দুর্নীতি হল, এতগুলি যুবক যুবকতির স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল, সেই মাথাগুলি পার পেয়ে যাবে মোদি-দিদির বোঝাপড়ায় ?', প্রশ্ন বামনেতার।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গতবছর নভেম্বরে এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল দাবি করেছেন, পদের সুযোগ নিয়ে, ছেলেরও আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক। তাঁর ছেলের সংস্থার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মিলেছে বলে দাবি করা হয় ইডি সূত্রেও। চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা! অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা আদায়! তারপর ব্যক্তিগত স্বার্থে সেই টাকা আত্মসাৎ।
আরও পড়ুন, 'বিডিও-রা সবথেকে বড় ডাকাত, সব অফিস ঘেরাও করা হবে', হুঁশিয়ারি দিলীপের
টেট-দুর্নীতিতে, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে! তবে অভিযোগের তালিকা এখানেই শেষ নয়। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরও মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। টেট দুর্নীতিতে ধৃত মানিকের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল বলছেন, পর্ষদের অফিসের পাঁচতলায় একটি এজেন্সি কাজ করত। তারাই এই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে সব দেখত। যাদের ঠিক করে দিয়েছিল সভাপতি হিসেবে মানিকবাবুই। তাপস মণ্ডলের আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, নিজে টাকা নেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিজের পদ এবং প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ছেলেরও আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন!