Calcutta Medical Agitation: কলকাতা মেডিক্যালে তুলকালাম, হাইকোর্টে মামলা
HC on Calcutta Medical College Agitation: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে তুলকালাম কলকাতা মেডিক্যালে ।চূড়ান্ত ভোগান্তির অভিযোগ, হাসপাতালে ঢুকতে না পারার অভিযোগ। মামলা করা হল কলকাতা হাইকোর্টে।
কলকাতা: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে তুলকালাম কলকাতা মেডিক্যালে (Calcutta Medical College)। ছাত্র সংসদে ভোটের দাবিতে মেডিক্যালে ধুন্ধুমার। চূড়ান্ত ভোগান্তির অভিযোগ, হাসপাতালে ঢুকতে না পারার অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। মামলা করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলা এক রোগীর আত্মীয়র। আগামীকাল মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
তুলকালাম কলকাতা মেডিক্যালে
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অধ্যক্ষ, অধ্যাপকদের রাতে বেরোতে দেওয়া হয়নি। আজ সকালে নার্সিং স্টাফরা তাঁদের বিভাগীয় প্রধানদের ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে এলে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। মূলত গতকাল থেকেই অবস্থানে বসেছেন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। তবে সপ্তাহের ব্যস্ততম দিনে তার প্রভাব পড়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভাগগুলিতেও। একদিকে এসময় আউটডোরে ভিড় লেগে থাকে। মেডিক্যালে বহু দূর থেকে চিকিৎসকদের কাছে আসে রাজ্যের বাসিন্দারা। অনেকের পরিবারেরই সদস্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের দেখতেও আসেন আত্মীয় স্বজনরা। তবে গতকাল তো বটেই, মূলত সকাল শুরু পর থেকেই তা আরও প্রভাব ফেলতে শুরু করে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে এদিন। শেষ অবধি মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন, উত্তরবঙ্গের ৩ জায়গায় ১২ ঘণ্টার রেল রোকো কর্মসূচি, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
তালা ভাঙার চেষ্টা, কী কারণে দরজা বন্ধ কারণ জানতে চান রোগীর পরিবার
একদিকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ। পাশাপাশি এদিন রোগীর পরিবার ভোগান্তিতে পড়তেই দুপক্ষের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে অভিযোগ জানিয়ে একজন নার্সিং স্টাফ বলেন, 'সব সময় মেয়েদেরকে নিচু করে দেখা হয়, এখানে আমাদের নার্সিং সুপার ম্যাডামকে আটকে রেখেছে, তার একটাই উদ্দেশ্য, ম্যাডম যদি বেরিয়ে আসেন, কোনও ফ্যাকাল্টি, এইচওডি এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না।' কেন তালা ভাঙা চেষ্টা ? আরামবাগ থেকে আগত রোগীর পরিজনের তরফে একজন বলেন, তিনি আজকে রিপোর্ট নিতে এসেছেন এবং সেই রিপোর্ট নিলে তবেই সিটি স্ক্যান হবে। কিন্তু তাঁদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। রিপোর্টের পাবার জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে যারা কাউন্টারে বসেছেন, তাঁরা তো এই বিক্ষোভে সামিল হননি, তাহলে কী করে রিপোর্ট পাওয়া গেল না ? তবে রোগীর পরিবারের তরফে ওই আরামবাগের মহিলা বলেন, সকলেই তো ভিতরে, তাহলে কী করে পরিষেবা পাবো ? এরপরেই তিনি বলেন, কী কারণে পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটল ? তারা হাসপাতাল সুপারের কাছে এই ঘটনার কৈফিয়ত চাইবেন।