Malda News: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ মহিলা কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে
Student Heckled: আক্রান্তের অভিযোগ, 'তৃণমূল কর্মীরা জোর করে আমায় দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে কাকলি চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরা আমায় বেধড়ক মারধর করে।'

মালদা : ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে 'মারধর'। মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কাউন্সিলর ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী। ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের আক্রান্তের। আক্রান্ত ছাত্র সংবিদ গোস্বামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র।
আক্রান্তের অভিযোগ, 'তৃণমূল কর্মীরা জোর করে আমায় দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে কাকলি চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরা আমায় বেধড়ক মারধর করে।' তাঁর বাবা কাজল গোস্বামীকেও হুমকি দেওয়া হয়, দাবি আক্রান্ত ছাত্রের। আক্রান্ত ছাত্রের বাবা কাজল গোস্বামী বিজেপি নেতা। 'আমি বিজেপি করায় আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর কাউন্সিলরের। আমায় ও আমার ছেলেকে খুনের হুমকি দিয়েছেন কাকলি চৌধুরী', অভিযোগ আক্রান্ত ছাত্রের বাবা কাজল গোস্বামীর। অভিযোগ অস্বীকার কাকলি চৌধুরীর। উল্টে আক্রান্তের বিরুদ্ধে পুরসভার স্বাস্থ্য ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ অভিযুক্ত কাউন্সিলরের। 'আমাদের দলের কোনও কর্মীও যদি অনৈতিক কাজ করে থাকেন তাঁকে কখনও আমরা আড়াল করি না', এই ঘটনায় মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
আক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সংবিদ গোস্বামীর অভিযোগ, 'কালকে সাড়ে আটটার দিকে মিশনের কাছে বসেছিলাম আমি। কয়েকজন দাদা এসে বলল পার্টি অফিসে চল। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন কিছু হয়েছে? ওরা বলল তোকে যেতে বলেছি চল। কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে আমায় নিয়ে যাওয়া হয়। পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে বসায়। বলে কাউন্সিলার আসছে। কথা বলবেন। কাকলি চৌধুরী আসার পর জিজ্ঞেস করেন আমার বাবা নাম কী? বলি কাজল গোস্বামী। উনি বলেন বেশি বড় নেতা হয়েছে, পাড়ায় আমাদের বিরুদ্ধে সংগঠন করবে, পলিটিশিয়ান হবে, এই বলে আমায় এক থাপ্পড় মারেন এবং নাগাড়ে মারতে থাকেন। তারপর ওখানে থাকা ছেলেদের বলেন এবার ওকে মার। আমার সঙ্গে ২-৩ জন বন্ধু ছিল তাদেরকেও মেরেছে। মিশনের কাছে তৃণমূলের পার্টি অফিস ছিল সেখানে আমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল'।
আক্রান্ত ছাত্রের বাবা বিজেপি নেতা কাজল গোস্বামীর অভিযোগ, তিনি বিজেপি করেন বলে তাঁর ছেলেকে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। কাজল গোস্বামীর অভিযোগ, মালদা রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে বসে তাঁর ছেলে এবং কয়েকজন বন্ধু গল্প করছিল। সেই সময় কাকলি চৌধুরীর ওয়ার্ড অফিস থেকে জনা ৫০ ছেলে, এলাকার গুণ্ডাবাহিনী তাঁর ছেলেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। মারধর করা হয় তাঁর ছেলেকে। তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কাজল গোস্বামী।
এদিকে কাকলি চৌধুরীর অভিযোগ, একদল ছেলে স্বাস্থ্যভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতেন, নেশা জাতীয় জিনিস খেতেন। আর এই দলে পাণ্ডা ছিলেন কাজল গোস্বামীর ছেলে সংবিদ। স্বাস্থ্যভবনের গার্ড তাঁদের বারণ করায় ওই ব্যক্তিকে গালিগালাজ করে সাময়িক ভাবে এলাকা ছেড়ে চলে গেলেও পরে আরও কয়েকজনকে নিয়ে পৌরসভার মাতৃসদনে ঢুকে ভাঙচুর চালায় ওই ছেলেদের দল। গার্ডকে মারতে উদ্যত হয়। কোনওমতে পালিয়ে বাঁচেন গার্ড। এই ঘটনায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয় যায়। কাকলি চৌধুরীর দাবি, তাঁরাই সংবিদদের দলকে আটকে রেখেছিলেন এবং অভিভাবক না এলে ছাড়া হবে না বলেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় সংবিদ নাকি তাঁর বাবার পরিচয় দিয়ে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর বাবার ভাল সম্পর্কের কথা বলে, সকলকে দেখে নেওয়ার কথাও বলে। এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলার কাকলি চৌধুরী।






















