Maha Kumbh 2025:"বড়লোকদের জন্য লক্ষ টাকার ক্যাম্প, আর গরিবদের জন্য...'' মহাকুম্ভে বিপর্যয় নিয়ে আক্রমণ মমতার
Mamata Banerjee: এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা মহাকুম্ভকে সম্মান করি, কিন্তু পরিকল্পনা ছাড়া! এত মানুষের মৃত্যু, কত সংখ্যা চেপে দিয়েছেন?''

কলকাতা: মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে এবার কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবতীয় বন্দোবস্ত বড়লোকদের জন্য ছিল, গরিবরা সমস্যায় পড়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এমনকী মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি বলেও আক্রমণ করেন।
একাধিকবার আগুন লাগা সহ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মহকুম্ভের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানুয়ারি মাসে মৌনি অমাবস্যায় মহাকুম্ভে মমান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। স্নানের জন্য হুড়োহুড়িতে ব্যারিকেড ভেঙে পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মহাকুম্ভ আমি নাই বা বললাম। ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে। মৃত্যুকূপের মতো। আমরা মহাকুম্ভকে সম্মান করি। আমি শ্রদ্ধা জানাই। গঙ্গা মাকে সম্মান জানাই। কিন্তু পরিকল্পনা ছাড়া... এত মানুষের মৃত্যু। বললেন ৩০ জনের মৃত্যু। কথাটা কি সঠিক? কত মৃতদেহ ভাসিয়ে দিয়েছেন! কত? হাজার হাজার। আট বার আগুন লেগেছে। বড়লোকদের জন্য লক্ষ টাকার ক্যাম্প, আর গরিবদের জন্য... লাইনে দাঁড়ান। ১৫-২০ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে... একটা মাদুরে বসলেও ২ হাজার টাকা। একটা লাল চা ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, স্নানের জন্য আলাদা টাকা। মহাকুম্ভের পবিত্র জায়গা আপনারা দূষিত করেছেন। সব জায়গায় হাইপ তুলে দিয়েছে। মৃতদেহের উপর দিয়ে যাঁরা হাইপ তুলছেন আর টাকা কামানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের আমি মেনে নিতে পারি না। এত বড় একটা আয়োজন, পদপিষ্ট হতেই পারে, কিন্তু প্ল্যানিং করতে হবে। কী প্ল্যানিং করেছিলেন? ফ্রিতে ট্রেন দিচ্ছেন। আগে দেখুন আদৌ সেই পরিকাঠামো আছে কিনা। ''
এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ ওঠে মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত না করেই দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী দেওয়া হয়নি ডেথ সার্টিফিকেটও। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই সব গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এত হাইপ তুলতে নেই। প্রথমে দেখতে হয়, পরিকাঠামো আছে কিনা। প্ল্যানিং ঠিক করে করতে হয়। দুর্ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করি না। আপনারা কমিশন পাঠাচ্ছেন, চিঠি পাঠাচ্ছেন। মহাকুম্ভের এই বিপর্যয়ের পরে কটা কমিটি পাঠিয়েছেন? আমার রাজ্যে ডেথ সার্টিফিকেট দেননি। ময়নাতদন্তও করেননি। মেডিক্যাল কলেজ থেকে কেউ সই করেনি। যাঁকে হেন্ডওভার দিয়েছে তাঁকে সই করিয়েছে। এখানে ময়নাতদন্ত করিয়েছি। পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেই তো খালাস। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে তো দাবিও করতে পারবে না। এইটুকু কাজও করতে পারেননি। গঙ্গাসাগরে কোনও VVIP-কে অনুমতি দিই না। আমি নিজে পরিদর্শন করি ৬ মাসে তার মিটিং করি। যাঁরা দায়িত্বে থাকে মেলায় সব শেষ হলে তাঁরা সব ফিরে আসে। গরিব মানুষরা কি মানুষ না!''
আরও পড়ুন: Nadia ATM Loot: শান্তিপুরে ATM লুঠের 'চেষ্টা'! কেন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের নয়? উঠছে প্রশ্ন
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
