Suvendu Adhikari: 'জাতীয় তকমা ফেরাতে ৪ বার ফোন মমতার, প্রত্যাখ্যান শাহর', বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
এদিন শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ থেকেই বলেন, জাতীয় তকমা ফেরানোর জন্য ৪ বার ফোন করে অনুরোধ করেছিলেন মমতা, প্রত্যাখ্যান করেছেন অমিত শাহ'।
সিঙ্গুর: 'জাতীয় তকমা হারানোর পরে অমিত শাহকে (Amit Shah) ফোন করেছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)'। সিঙ্গুরের (Singur) সভা থেকে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ থেকেই বলেন, জাতীয় তকমা ফেরানোর জন্য ৪ বার ফোন করে অনুরোধ করেছিলেন মমতা, প্রত্যাখ্যান করেছেন অমিত শাহ'। সিঙ্গুরের সভা থেকে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।
সিঙ্গুরের সভা থেকে তৃণমূলের (TMC) শিল্পনীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেনদু অধিকারী, যিনি সিঙ্গুরে টাটা বিরোধী আন্দোলনের সময় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা ছিলেন। পাল্টা, জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানো নিয়েও, সিঙ্গুরের সভা থেকে বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সর্বভারতীয় তকমা চলে যাওয়ার পর অমিত শাকে চারবার ফোন করেছেন উনি, আমার ২০২৪ অবধি রাষ্ট্রীয় তকমাটা রেখে দিলে হয় না, অমিত শাহ বলেছেন না হয় না। আমাদের নির্বাচন কমিশন আপনাদের মত নয় তো। আপনি তো ভোট পাননি থাকবেন কি করে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এ প্রসঙ্গে পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেছেন, 'মিথ্যা কথা, অমিত শাহর বৈঠকে শুভেন্দু নিজেই ঢুকতে পারেননি।...মমতা আগেই বলে দিয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্য চাই।'
৪ রাজ্যে 'স্টেট পার্টি' থাকার শর্তপূরণে ব্যর্থ! তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন। ফলে এখন থেকে শুধুই আঞ্চলিক দল তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের পাশাপাশি জাতীয় দলের তকমা হারাল সিপিআই ও শরদ পাওয়ারের এনসিপি। অন্যদিকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।
মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ ওনাকে করি না। কিন্তু আপনাদের কাছে প্রশ্ন করছি। ২০১১ র পর উনি বদলে গেছেন কিনা, লাইফ স্টাইল চেঞ্জ হয়েছে কিনা? এখন দুটো চাটার ফ্লাইট একটা নিজের একটা ভাইপোর। ডোমজুড় থেকে সভা করতে গেলেন হেলিকপ্টারে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূল-বিজেপি তরজা ততই সপ্তমে উঠছে।
দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চে সুর চড়িয়ে বলেন, সিঙ্গুরের এই হুগলির যা ক্ষতি করার উনি টাটার কারখানা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে করে দিয়ে গেছেন।
এক সময়ে দুজনের ছিলেন সহযোদ্ধা। এখন তাঁরাই সম্মুখ সমরে। যে সিঙ্গুর আন্দোলন রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘুরে দিয়েছে, যে সিঙ্গুর একসময় বাংলার শিল্প-সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠতে উঠতেও শেষ অবধি শিল্পের সমাধি ঘটেছে, টাটাদের গাড়ি কারখানা তৈরি প্রায় শেষ হতে হতেও শেষ হয়নি, উল্টে শিল্পই শেষ হয়ে গেছে। সেই জমি আন্দোলনের আঁতুরঘর সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এবার, তৃণমূলের শিল্পনীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেনদু অধিকারী, যিনি সিঙ্গুরে টাটা বিরোধী আন্দোলনের সময় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা ছিলেন।