Manipur Violence : অশান্ত মণিপুরে শহিদ বাংলার জওয়ান, শোকস্তব্ধ ভাটপাড়া
West Bengal Jawan Death : বাড়ির একমাত্র ছেলে রঞ্জিত ২০০৯ সালে বিএসএফে যোগ দেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে তিনি। তাঁর মৃত্যুতেই শোকস্তব্ধ পরিবার, পরিজন, বন্ধুবান্ধব। পরিবারের আবেদন, পাশে দাঁড়াক সরকার।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : মণিপুরে অশান্তি (Manipur Violence) অব্যাহত। তল্লাশি অভিযানের সময় গুলিতে শহিদ হলেন বাংলার বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan Death) রঞ্জিত যাদব। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার বাসিন্দা তিনি। এদিকে, একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিযে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি পরিবার। পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরের।
গত ৩ মে জনজাতি সম্প্রদায়ের একটি মিছিল ঘিরে মণিপুরে হিংসা ছড়ায়। সেই অশান্তি এখনও অব্যাহত। অশান্ত মণিপুরে মোতায়েন ছিলেন বিএসএফ জওয়ান রঞ্জিত। বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন রঞ্জিত। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর।
বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী ও ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে ছিল বিএসএফ জওয়ানের সংসার। একটা গুলিতে সেই সংসার ছারখার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিযে শোকে পাথর পরিবার। নিহত জওয়ানের নাম রঞ্জিত যাদব (৩৬)। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুুকিয়াপাড়ার বাসিন্দা।
বাড়ির একমাত্র ছেলে রঞ্জিত ২০০৯ সালে বিএসএফে যোগ দেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে তিনি। তাঁর মৃত্যুতেই তাই স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ পরিবার, পরিজন, বন্ধুবান্ধব। পরিবারের আবেদন, পাশে দাঁড়াক সরকার।
আরও পড়ুন- 'শরীরে যন্ত্রণা, ব্যালেন্স পাচ্ছি না, জামিনের ব্যবস্থা করুন স্যার' কাতর আর্জি অনুব্রতর
একাধিক জনজাতির মধ্যে বিক্ষোভ, সংঘর্ষে বেশ কিছুদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি। মণিপুরের বাসিন্দাদের বড় অংশই মেইতেই জনগোষ্ঠীর। তাঁরা মূলত ইম্ফল ও লাগোয়া সমতল এলাকায় বাস করেন। পাহাড়ি এলাকায় থাকেন কুকিরা। মেইতেইরা জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাঁরা পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারেন না। কিন্তু কুকিরা সমতল এলাকায় জমি কিনতে পারেন। এবার মেইতেই জনগোষ্ঠী তফসিলি জনজাতিভুক্ত হয়ে গেলে তাঁরাও পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারবেন, সেটাই কুকিদের অসন্তোষের কারণ। কুকিদের দাবি, এন বীরেন সিংহের সরকার তাঁদের ক্রমশ কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। শুধু মেইতেইদের তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবির বিরোধিতা নয়।
আরও একটি কারণে চড়েছে ক্ষোভের পারদ। মণিপুরের পাহাড়ি এলাকায় কুকি জনগোষ্ঠীদের বাস। সেই পাহাড়ি এলাকায় সংরক্ষিত অরণ্য থেকে কুকি জনগোষ্ঠীভুক্ত বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেটা নিয়েই চড়েছে ক্ষোভের পারদ। একাধিকবার বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নিরাপত্তা আটোসাঁটো করা হয়েছে। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হিংসায় জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গেই দেখা করেছিলেন তিনি।