Murshidabad: CBI অভিযান চলাকালীন বিধায়ক জীবনকৃ্ষ্ণর বাড়ির সামনে হাজির তৃণমূল নেতারা
বিধায়কই খবর দিয়েছেন বলে তাঁদের দাবি।

অনির্বাণ বিশ্বাস, বড়ঞা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই অভিযান চলাকালীন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃ্ষ্ণ সাহার বাড়ির সামনে হাজির তৃণমূল নেতারা। বিধায়কই খবর দিয়েছেন বলে তাঁদের দাবি। জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের বড়ঞা ব্লকের সভাপতি রবীন ঘোষ, বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও ব্লক সহ সভাপতি মাহে আলম, যুব তৃণমূলের বড়ঞা ব্লকের সভাপতি সামশের দেওয়ান-সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা।
৪৮ ঘণ্টা পার। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দির বাড়িতে সিবিআই অভিযান অব্যাহত। সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর, আজ সকালে বিধায়কের বাড়ির পুকুর থেকে তাঁর একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হলেও, এখনও দ্বিতীয়টির খোঁজ মেলেনি। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ জলের মধ্যে থাকায়, ফোন কতটা অক্ষত রয়েছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের।
শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বিধায়ক নিজের দুটি ফোন সিবিআই অফিসারদের কাছ থেকে ছিনিয়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ওঠে।ওইদিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে পুকুর ছেঁচে জল তোলার কাজ শুরু হয়।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। গতকাল বাড়ির পাঁচিলের ধারে ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ৫টি ব্যাগ। যার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথি মিলেছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।
বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই অভিযান ঘিরে একের পর এক চমক। কীভাবে পুকুরে ছুড়েছিলেন দুটি মোবাইল ফোন? তা জানতে সকাল থেকে বিধায়ককে নিয়ে দফায় দফায় চলছে পুনর্নির্মাণ। এদিন সকালে একটি ফোন উদ্ধার হলেও, খোঁজ মেলেনি দ্বিতীয় ফোনটির। সিবিআইয়ের নির্দেশে বিধায়কের ফোন খুঁজতে পুকুরে নামে তৃণমূলেরই শাবলদহ অঞ্চলের সভাপতি সাধন প্রামাণিকের নেতৃত্বে ১০ জনের দল। তবে ঘণ্টাদুয়েকের তল্লাশিই সার। ফোন উদ্ধার করতে না পেরে ফিরে উদ্ধারকারী দলের একাংশ।
এদিন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিয়ে মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলার পুনর্নির্মাণ করাতেই মেলে সাফল্য। সিবিআই সূত্রে খবর, সকাল ৭টা ২৫-এ বিধায়ককে তাঁর বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মান করা হয়। সিবিআই আধিকারিকদের নির্দেশে ছাদের পাঁচিলে উঠে বাড়ির পুকুরে ঢিল ছোড়েন তৃণমূল বিধায়ক। ঠিক যেভাবে তিনি নিজের দুটি মোবাইল ফোন ছুড়ে পুকুরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিধায়কের ছোড়া ঢিল পুকুরের যে জায়গায় পড়েছিল, সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে সেখানেই নামানো হয় ৪ পাম্প কর্মীকে। ঠিক ১১ মিনিট পর ৭টা ৩৮ মিনিটে পুকুরের পাঁক থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ফোনের সন্ধান পেতে সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে বিধায়ককে পুকুর-পাড়ে নিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিধায়কের নির্দেশ মতো শুরু হয় মোবাইলের খোঁজ। সিবিআইয়ের নির্দেশে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তৃণমূলের শাবলদহ অঞ্চলের সভাপতি সাধন প্রামাণিকের নেতৃত্বে পুকুরে নামে ১০ জনের দল। বেলা গড়াতে ফের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য বিধায়ককে নিয়ে যাওয়া হয় ছাদে।





















