Nadia News: দৈনিক রোজগার ছিল ১৮০ টাকা, লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি মৎস্যজীবী
খালে বিলে মাছ ধরার কাজ করতেন। মজুরি পেতেন ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। তাতেই অতিকষ্টে বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে ১০ জনের সংসার চালাতেন মজনু। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই চরম অভাবের সংসারে হাসি ফোটাতে পারেননি।

প্রদ্যোৎ সরকার, পলাশিপাড়া (নদিয়া): দৈনিক রোজগার ছিল ১৮০। কোনও কোনও দিন ভাগ্য ভাল থাকলে তা পৌঁছত ২০০-তে। ব্যস এতটুকুই। তবে ভাগ্য ফিরল মৎস্যজীবী (Fisherman) মজনু। লটারির টিকিট (Lottery Ticket) কেটে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন তিনি। নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার (Palashipara Police Station) বারনিয়া রতনপুরের (Ratanpur) মজনু দফাদার।
খালে বিলে মাছ ধরার কাজ করতেন। মজুরি পেতেন ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। তাতেই অতিকষ্টে বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে ১০ জনের সংসার চালাতেন মজনু। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই চরম অভাবের সংসারে হাসি ফোটাতে পারেননি।
কিন্তু নতুন বছর নিয়ে এল এক রাশ খুশি। গত শনিবার অর্থাৎ ১ জানুয়ারি একটি লটারি টিকিট কাটেন তিনি। আর তাতেই জ্যাকপট। ওই লটারির টিকিটেই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান মজনু দফাদার। তারপর থেকেই বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের ভিড়। মজনুর সংসারেও খুশি। এমন দিনবদলে খুশি বৃদ্ধা বাবা-মা। এবার অন্তত একটু ভাল খেয়ে পরে বাঁচা যাবে। এমনটাই ভাবছে দরিদ্র পরিবার।
এর আগে পূর্ব বর্ধমানও এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়। সেও যেন একেবারে 'হাতে চাঁদ পাওয়া'। সকালে কপাল ঠুকে লটারি টিকিট (Lottery Ticket) কাটেন অনেকেই। কিন্তু দুপুরেই সেই টিকিট জিতে কোটিপতি হতে পারে ক'জন? ঠিক এমনভাবেই কোটিপতি হন শক্তিগড়ের (Shaktigarh) বাম এলাকার বাসিন্দা শেখ হীরা।
তিনি পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। হঠাৎ করে লটারিতে কোটিপতি হওয়ায় যেন দিশেহারা এবং কিছুটা দিকভ্রান্তও। অগ্যতা তিনি ছুটলেন থানায়। পুলিশ অফিসারদের কাছে জানতে চান, এখন কি করা উচিত তাঁর? বৃহস্পতিবার সকালে লটারির টিকিট কেটেছিলেন শেখ হীরা। আর দুপুর হতেই তিনি হয়ে গেলেন একেবারে কোটিপতি। এ যেন বৃহস্পতিবারে লক্ষ্মীলাভ!
বিপুল টাকা জিতে রীতিমতো নার্ভাস হীরা। আর কিছু ভেবে উঠতে না পেরে সোজা চলে যান শক্তিগড় থানার পুলিশের কাছে। লটারির টিকিটি ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয় মনের মধ্যে। অবশেষে পুলিশি নিরাপত্তায় তিনি বাড়ি ফেরেন।
তিনি জানান যে, তাঁর মা অসুস্থ। সেই চিকিৎসায় মোটা টাকার খরচ রয়েছে। অথচ আয় বলতে পরের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে যেটুকু রোজগার। তবে কপালের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। যদি কোনও দিন মোটা টাকা মেলে এই আশায় হীরা লটারির টিকিট কাটতেন মাঝেমধ্যেই। সেইমতো বৃহস্পতিবার সকালেও ২৭০ টাকার লটারির টিকিট কাটেন। বেলা দেড়টায় সেই টিকিট মেলাতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ!






















