Nadia News: সাত বছর বাদে সম্পূর্ণ হল বিচার প্রক্রিয়া, খুনের ঘটনা দুই অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘোষণা
Shantipur News Update: জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শান্তিপুরের বাসিন্দা মেহেবুল কারিগর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।

সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার শান্তিপুরে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলো রানাঘাট আদালত (Ranaghat Court)। ঘটনার সাত বছর বাদে সম্পূর্ণ হল বিচার প্রক্রিয়া।
খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা: জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শান্তিপুরের বাসিন্দা মেহেবুল কারিগর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁদের পথ আটকায় সাহেব আলি কারিগর এবং সুকান্ত দেবনাথ নামে দুই দুষ্কৃতী। প্রথমে মেহেবুলের সঙ্গে মুখে বচসা এবং তারপর হঠাৎ মেহেবুলকে লক্ষ করে গুলি চালায় সাহেব আলি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মেহেবুল ওরফে গুড্ডু। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলেন সাহেব আলি এবং সুকান্তকে। গুলিতে জখম গুড্ডুকে তড়িঘড়ি শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার তদন্ত নেমে শান্তিপুর থানা দুই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এরপর থেকে রানাঘাট আদালাতে চলছিল মামলার বিচার প্রক্রিয়া। সাত বছরের বিচার প্রক্রিয়ায় মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মে দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার এই মামলার সাজা ঘোষণায় দুই অপরাধীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন রানাঘাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ সৌমেন গুপ্ত। একই সঙ্গে খুনের মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আগ্নেয়াস্ত্র আইনে সাত হাজার টাকা নগদ জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের লালটু হালদার বলেন, "আমাদের ট্রায়াল মনিটরিং-এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়া গিয়েছে মৃত মেহবুলের অসহায় মাকে। এটা আমাদের পুলিশ জেলার সাফল্য।'' সরকারপক্ষের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভদ্র বলেন, "সমস্ত অপরাধীদের কাছে এই মামলার রায় একটি বার্তা। এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে বিচার প্রক্রিয়ার হাত থেকে তারা বাঁচতে পারবে না।''
এদিকে বাঁকুড়ার ছাতনায় স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁটাপাহাড়ি গ্রামের এক দম্পতির পারিবারিক এক বিষয়কে নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়। যার জেরে স্ত্রী মায়া মাল (৫৭) এর হাতে খুন হন স্বামী জিতেন মাল (৬০)। জানা গিয়েছে স্বামী জিতেন মাল দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। হঠাৎই তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং অভিযুক্ত স্ত্রী মায়া মাল ধারালো কাটারি দিয়ে স্বামী জিতেন মালের গলায় আঘাত করলে লুটিয়ে পড়েন জিতেন মাল। এই ঘটনায় মায়ের বিরুদ্ধে ছাতনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দম্পতির ছেলে উজ্জল মাল। অভিযুক্ত মায়া মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।






















