WB Dengue Update: কমছে না দাপট, এবার উত্তর ২৪ পরগনার আরও একটি ব্লকে ডেঙ্গির আতঙ্ক
North 24 Parganas News: রোগীদের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকছে। বাদুড়িয়ার বিডিও জানিয়েছেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসন তৎপর।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: আমডাঙার পর এবার বাদুড়িয়া। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আরও একটি ব্লকে ডেঙ্গির (Dengue Update) আতঙ্ক। বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীদের লম্বা লাইন। অজানা জ্বরের পাশাপাশি, বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ।
জেলায় জেলায় ডেঙ্গির আতঙ্ক: বর্ষা আসতে না আসতেই ভয় ধরাচ্ছে মশাবাহিত রোগ। কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলাতেও বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। আমডাঙার পর উত্তর ২৪ পরগনার এবার বাদুড়িয়ায় ছড়াল আতঙ্ক। জ্বরের পাশাপাশি, বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীদের লম্বা লাইন। রোগী ও তাঁদের পরিজনেদের অভিযোগ, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট মিলছে দেরিতে। ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হচ্ছে না।বাদুড়িয়ার বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস জানিয়েছেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসন তৎপর। তিনি বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাধ্যমে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।’’
অন্যদিকে, জ্বর ও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত মহিলা রোগীদের জন্য নদিয়ার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে খোলা হল পৃথক ডেঙ্গি অ্যান্ড ফিভার ওয়ার্ড। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেলার মধ্যে রানাঘাট মহকুমায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন বহু মানুষ জ্বর ও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর চাপে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি পাওয়ার পর ১৬ বেডের পৃথক ডেঙ্গি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে পুরোদমে চালু হয়েছে ডেঙ্গি ওয়ার্ড। ভর্তি হয়েছেন ২২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী।
এদিকে পশ্চিমে সরছে নিম্নচাপ। এর প্রভাবে আজও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গেও দু’-এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টির জেরে থাকছে জল জমার সমস্যাও। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমবে। গতকালের বৃষ্টিতে কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ার কামডহরিতে। গতকাল রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৯১ মিলিমিটার, বেহালায় ৯০.৮ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ৮৭ মিলিমিটার, জোকায় ৭৬ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ৭১ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৬০, মার্কুইস স্কোয়ারে ৫৯, ঠনঠনিয়ায় ৪৬.৬, ধাপায় ৪৬, মানিকতলায় ৪৩, দত্তবাগানে ৪১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।