North Bengal Flood: বাড়ির সঙ্গে হচ্ছে না যোগাযোগ, মিরিকে বেড়াতে গিয়ে আটকে বাঙালি পর্যটকরা !
Bengali tourist Stuck In North Bengal Flood : মিরিকে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বাঙালি পর্যটকরা, কী দাবি কলকাতার বাসিন্দাদের ?

উত্তরবঙ্গ: মিরিকে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বাঙালি পর্যটকরা। যাদবপুুরের বাসিন্দা জন্টি রায় বর্মন ও গড়িয়ার বাসিন্দা তপোব্রত মণ্ডল পঞ্চমীর দিন বাইক নিয়ে পাহাড়ে ঘুরতে এসেছিলেন। শনিবার মিরিকে এসে আটকে পড়েছেন। বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্রশাসনের সহযোগিতায় কোনওমতে বাড়ি ফিরতে চাইছেন কলকাতার বাসিন্দারা।
প্রকৃতির রুদ্ররোষে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দুর্যোগ কাটলেও রয়েছে দুর্ভোগ। অনেকেই আটকে পড়েছেন পাহাড়ে। বৃষ্টি থামতেই সমতলে নামতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। কিন্তু সেখানেও ভোগান্তি চরমে।
মেঘ পিয়নের দেশে প্রকৃতির রুদ্ররূপ! জলের তোড়ে ভেঙেছে সেতু! পাহাড়ের পাকদণ্ডী পথকে গ্রাস করেছে আতঙ্ক! প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি, নরক যন্ত্রণায় জেরবার পাহাড়। সোমবার পাহাড়ে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। আর বৃষ্টি থামতেই সমতলে নামতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। কিন্তু ফেরার পথেও ভোগান্তি চরমে।কলকাতার পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা সুজয় সান্য়াল ও তাঁর স্ত্রী সপ্তদীপা সান্য়াল দার্জিলিং গেছিলেন।দুর্যোগে আটকে পড়েছেন তাঁরা।
পাহাড়ে আটকে পড়া পর্যটক সুজয় সান্য়াল বলেন, গতকাল রাস্তায় ধস নেমেছিল। ফ্লাইট মিস হয়েছে..। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে,গড়িয়াহাটের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা খাস্তগীরেরও।ভুক্তভোগী পর্যটক প্রিয়াঙ্কা খাস্তগীর বলেন, ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ট্রাফিক জ্য়ামে আটকে ছিলাম।দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে। ট্রেনে-বাসে-কিংবা গাড়িতে ফিরতে যখন বেগ পেতে হচ্ছে, তখন প্লেনের টিকিটের দাম আক্ষরিক অর্থেই আকাশ ছোয়া। সুযোগ বুঝে চড়া দাম হাঁকাচ্ছে বিমান কোম্পানিগুলি!
বাগডোগরা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের গড় ভাড়া থাকে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্য়ে।সোমবার সেই ভাড়া তিন থেকে সাতগুণ অবধি বাড়ানো হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। এনবিএসটিসি কর্মী দেবাশিস বিশ্বাস বলেন,আমরা অলরেডি গাড়ি পাঠানো শুরু করে দিয়েছি। সকাল থেকে আমাদের কাছে যা খবর আছে, ১৫ টা থেকে ১৬ টা গাড়ি আমাদের ওখান থেকে পাঠানো অলরেডি হয়ে গেছে। এগুলো শিলিগুড়ি থেকে আসছে।
হাওড়ার বালির বাসিন্দা অর্ক বোস। পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে দার্জিলিংয়ে গেছিলেন।দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেলেও দুর্ভোগের শেষ নেই!হাওড়া পর্যটক অর্ক বোস বলেন, বৃষ্টিপাতের জেরে আটকে পড়েছিলাম। গতকাল আজকে নামতে পারিনি। আজ নেমেছি।'এখন হচ্ছে পর্যটনের মরসুম।পাহাড়ে ডুয়ার্সে পর্যটকদের ঢল নামে।আর এখনই এই ভয়ঙ্কর দুর্যোগ!মাথায় হাত পর্যটন ব্য়বসায়ীদের।ইন্ডিয়ান অ্য়াসোসিয়েশন অব টুর অপারেটর রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ দত্ত বলেন, এই দুর্যোগ হওয়ার পর মানুষ বাতিল করছে পাহাড়ে ভ্রমণ। পর্যটক ব্য়বসায়ীদের অসুবিধা বাড়বে।'কুণ্ডু ট্রাভেলস কর্ণধার সৌমিত্র কুণ্ডু বলেন , পর্যটনে বড় প্রভাব পড়বে। পর্যটন শিল্প ধাক্কা খাবে।'বৃষ্টি থেমেছে।এটাই আশার।কিন্তু পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে যে সময় লাগবে, তা এই ভয়ঙ্কর ছবিগুলো থেকেই স্পষ্ট।






















