Operation Sindoor: 'সিঁদুর নিয়ে নাটক করছে BJP, গোটাটাই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, পাকিস্তানের সঙ্গে ফিটিং..', ! বিতর্কিত মন্তব্য TMC MLA-র
TMC MLA Attacks On Operation Sindoor : অপারেশন সিঁদুর নিয়ে এবার বিতর্কিত মন্তব্য় তৃণমূল বিধায়কের

মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর, কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ। সামরিক ইস্যুতে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল প্রত্য়েকেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিল সেসময়। এমনকি বিদেশ সফরে গিয়েও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, শাসকদলের সঙ্গে মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু যখন আমার দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গ উঠে আসে, তখন দেশের স্বার্থই সবার উপরে আসে।'এমনকি ভারতীয় সেনা কীভাবে জঙ্গিদের নিকেশ করেছে, তা নিয়েও প্রশংসা করতে শোনা যায়। এমন এক আবহে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। ঠিক এমন এক সময়ে 'অপারেশন সিঁদুর ( Operation Sindoor )' নিয়ে এবার বিতর্কিত মন্তব্য় তৃণমূল বিধায়কের।
পাকিস্তানের সঙ্গে সেটিংয়ের অভিযোগ তুলে গোটা বিষয়কেই নাটক বলে আক্রমণ করলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক ও পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সিঁদুর নিয়ে নাটক করছে বিজেপি, আক্রমণ পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের। তিনি বলেন, 'সিঁদুর খেলা শুরু করেছে বিজেপি, গোটাটাই নাটক। গোটাটাই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, পাকিস্তানের সঙ্গে ফিটিং'। তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য়ে, পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এই বক্তব্যের সমালোচনা করছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, কীভাবে সিঁদুর খেলা শুরু করেছে বিজেপি সরকার। গোটাটাই যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা। গোটাটাই নাটক। পাকিস্তানের সঙ্গে ফিটিং করেছে। ফিটিং করে... এরা সিঁদুর খেলতে নেমেছে। কিন্তু এ সিঁদুর বাঙালির রক্তে। এ সিঁদুর মায়ের সিঁথিতে আছে। তাই এই সিঁদুরকে নিয়ে যদি খেলা করে, তাকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়, বুধবার দুর্গাপুরের কর্মিসভা থেকে এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে আক্রমণ শানান তিনি।
পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, একা শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু আর আমাদের অমিত শাহ হিন্দু? কত বড় বেইমান। কিন্তু ২৮ জনের যে মৃত্য়ু হয়েছে তার বিচার চাই। কোথায় বিচার হল? লোকগুলো এল, মারল পহেলগাঁওয়ে। আর মেরে দিয়ে কোথায় উবে গেল কর্পূরের মতো ? কই কেন্দ্রীয় সরকার, এত লড়াই, কিন্তু দুষ্কৃতীদের তো এখনও খুঁজে পেল না। আসলে কখনও খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ এটা একটা গেম প্ল্য়ান। একদল দুষ্কৃতী ওখানে চলে এল, পহেলগাঁওয়ে কিন্তু তার তিনদিন আগে সব নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল।'























