Recruitment Scam: পার্থ-মানিক যুগলবন্দিতে বিপুল টাকা আত্মসাৎ? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দাবি ইডির
বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংস্থাকে অনুমোদন ও NOC পাইয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য, দাবি ইডির।
কলকাতা: পার্থ-মানিক যুগলবন্দিতেই দুর্নীতির বিপুল টাকা আত্মসাৎ, আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির। বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজকে অনুমোদনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অনুমোদন ও NOC পাইয়ে দিতে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিতেন মানিক ভট্টাচার্য। আদালতে দাবি করল ইডি।
বিস্ফোরক দাবি ইডির: নগর দায়রা আদালতে মানিক ভট্টাচার্যর জামিনের বিরোধিতায় বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংস্থাকে অনুমোদন ও NOC পাইয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কটা ছিল ৬-৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ২-৫ লক্ষ টাকা নিতেন।
ইডি-র দাবি, পার্থর ক্ষেত্রে তাঁর ঠিক করা কোনও লোকের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়া হত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি সিডি-র একটিমাত্র ফোল্ডারে প্রায় ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নাম মিলেছে। এদের মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি চাকরি পেয়েছেন। অথচ জেরায় মানিক দাবি করেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না। ইডি-র দাবি, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বাতিল ও ফেল করা চাকরিপ্রার্থীদের পাস করাতে ১ লক্ষ ও নিয়োগ পাইয়ে দিতে ৫ লক্ষ টাকা নিতেন মানিক। এই সমস্ত অভিযোগ জানিয়েই আজ নগর দায়রা আদালতে মানিকের জামিনের বিরোধিতা করবে ইডি।
মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালত থেকে বেরনোর সময় গতকাল মেজাজ হারান, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক প্রসঙ্গে, সম্প্রতি একাধিক প্রশ্ন তুলে CBI-কে ভর্ৎসনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, কার দুটি পাসপোর্ট আছে? মানিক ভট্টাচার্যর? উত্তরে সম্মতি জানিয়েছিলেন CBI-এর আইনজীবী। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানতে চেয়েছিলেন, কতবার লন্ডনে গেছেন মানিক ভট্টাচার্য? তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন? সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মানিক। আদালত থেকে বেরনোর সময় মেজাজ হারান তিনি। অপসারিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি বলেন, “লন্ডনে বাড়ি নেই নেই নেই। ২টো পাসপোর্ট নেই নেই নেই। থাকলে আমার ফাঁসির সাজা হোক।’’
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দুই বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল