Pashchim Medinipur: অসহ্য গরমে টানা ৬ দিন নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, প্রশাসনকে জানালেও হয়নি সুরাহা
Pashchim Medinipur News: টানা ৬দিন অন্ধকারে ঘাটালের অজবনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬০-৭০টি পরিবার। 'শনিবার বজ্রপাতে নষ্ট হয়ে যায় ট্রান্সফর্মার।'
সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর (Pashchim Medinipur)। অসহ্য গরমে টানা ৬ দিন ধরে বিদ্যুত্হীন (Without Power) রইল ঘাটালের অজবনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম। বাসিন্দাদের দাবি, শনিবার বজ্রপাতে (lightening) নষ্ট হয়ে যায় ট্রান্সফর্মার (transformer)। এরপর বারবার প্রশাসনকে জানালেও ফেরেনি বিদ্যুৎ। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার।
প্যাচপ্যাচে গরম, তাতে টানা ৬ দিন নেই বিদ্যুৎ
টানা ৬ দিন বিদ্যুৎহীন গ্রাম। তীব্র গরমে ১৪৪ ঘণ্টা আলো, পাখার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। দুর্বিসহ অবস্থা। পূর্ব বর্ধমানের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরেও একই অবস্থা।
টানা ৬দিন অন্ধকারে ঘাটালের অজবনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬০-৭০টি পরিবার। সেখানকার রাধাকান্তপুর, মানাপাড়া, দাসপাড়া, ভুঁইয়াপাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, 'শনিবার বজ্রপাতে নষ্ট হয়ে যায় ট্রান্সফর্মার।'
অভিযোগ, বার বার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। ৬ দিন পরেও গ্রামে ফেরেনি বিদ্যুৎ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যেই দেখা দিয়েছে তীব্র জলসঙ্কট।
পশ্চিম মেদিনীপুরের রাধাকান্তপুরের (Radhakantapur) বাসিন্দা শান্তিময় খুটিয়া বলেন, 'শনিবার বাজ পড়েছে। সেই থেকে বিদ্যুৎ নেই। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা।'
পশ্চিম মেদিনীপুরের হরিদাসপুরের (Haridashpur) বাসিন্দা কাজল মান্নার অভিযোগ, 'প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করুক।'
আরও পড়ুন: Amit Shah vs Mamata Banerjee: BSF-কে নিয়ে বড় পরিকল্পনা! অমিত শাহের মন্তব্যে শুরু জল্পনা, 'আগুন নিয়ে খেলবেন না', পাল্টা হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কবে ফিরবে গ্রামে বিদ্যুৎ?
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে (West Bengal State Electricity Distribution Company) ফোন করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এপ্রিলের শেষে, ১৩ দিন ধরে বিদ্যুত্হীন ছিল পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর (Purbasthali) কাদাপাড়া। কাঠফাটা গরমে দু’সপ্তাহ ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের। এবিপি আনন্দের (ABP Ananda) খবরের জেরে সেখানে ১৪ দিনের মাথায় ফেরে বিদ্যুৎ।