East Burdwan News: পর্দা ঢাকা বাসের ভিতর গরুর পাল ! ভোটের আগে ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র?
East Burdwan Cattle Case: লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ফের চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে, পর্দা ঢাকা বাসের ভিতর গরুর পাল !
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: গরুপাচার মামলায় এরাজ্যে কম জল গড়ায়নি। গ্রেফতার হন শাসকদলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ফের চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এল। তবে এবার বীরভূম নয়,ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে পূর্ব বর্ধমানে। পর্দা ঢাকা বাসের ভিতর গরুর পাল ! পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মেমারির চকদিঘি মোড়ের কাছে একটি গরু বাস থেকে ব্যস্ত জিটি রোডের ওপর ছিটকে পড়ে যেতেই বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় আটকানো হয় বাস। দেখা যায়, বাসের ভিতর যাত্রী তো নেই-ই, আসনও নেই কোনও। তার বদলে বাঁধা রয়েছে একপাল গরু।
বাস চালক দাবি করেন, বৈধ কাগজ নিয়েই বিহার থেকে হুগলির পাণ্ডুয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলেন গরুগুলিকে। প্রশ্ন উঠছে,এভাবে পর্দা ঢাকা বাসে করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কেন? তবে কি ফের সক্রিয় হয়েছে উঠেছে গরু পাচার চক্র? (Cattle Scam) এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এদিকে গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দুয়ারে লোকসভা ভোট। তার আগে সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে ফের জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, 'অনুব্রতকে এতদিন জেলে পুরে রেখেছে, কিন্তু মানুষের মন থেকে ওকে দূর করতে পারেনি।' বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেও ফের নিশানা করে পিএমএলএ আইন নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিল বিরোধীরাও।এরপর আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনে ইডির দায়ের করা মামলায় , ২০২২-এর ১৭ নভেম্বর থেকে জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। বর্তমানে তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। এতকিছুর পরেও বীরভূমের জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরায়নি তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে এদিন নাম না করে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, শিয়ালদা উত্তর শাখায় ১৪৩টি লোকাল ট্রেন বাতিল
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আরেকটা আইন করে রেখে দিয়েছে। কী খায় না মাথায় দেয়। পিএমএলএ। পামলা, না আমলা, জানি না, না গামলা। কারওর বিরুদ্ধে তোমার নিশ্চই অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু, বিচারের বাণী কেন নীরবে নিভৃতে কাঁদবে? তুমি বিচার কর। তুমি উইটনেস নাও। তুমি এভিডেন্স নাও। তুমি চার্জশিট দাও এবং ল লয়ের পথে চলুক। কিন্তু, বিনা বিচারে একেক জনকে বছরের পর বছর জেলের মধ্য়ে আটকে রেখে দিয়ে যদি মনে কর ভোট করবে মনে রাখবে এটা কিন্তু লোকে সহ্য় করবে না।'