Purba Bardhhaman: 'টাকা ফেরানো হবে', বিজেপির দলীয় অফিসের বাইরের ফ্লেক্স ঘিরে হইচই
Controversy Around Party Flex: বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে একী অদ্ভূত ফ্লেক্স! যা লেখা তা কি সত্য়ি? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতির নির্দেশে এসে দলীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে?
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বিজেপির (BJP) দলীয় কার্যালয়ে (party office) একী অদ্ভূত ফ্লেক্স (flex)! যা লেখা তা কি সত্য়ি? পশ্চিমবঙ্গ (west bengal) রাজ্য (state) বিজেপি সভাপতির (BJP president) নির্দেশে এসে দলীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে সত্যিই কি চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে? আপাতত এই প্রশ্নেই হইচই পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhhaman) যার কেন্দ্রে পদ্মশিবিরের একটি দলীয় ফ্লেক্স।
কী লেখা ফ্লেক্সে?
যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী তৃণমূল নেতা বা আধিকারিকদের টাকা দিয়ে চাকরি পাননি এবং টাকাও ফেরত পাননি, তাঁরা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির জেলা অফিসে যোগাযোগ করলে দায়িত্ব নিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। এমনই লেখা ওই ফ্লেক্সে। বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে আলোড়ন পূর্ব বর্ধমানে। এ কি সত্যি সম্ভব? এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দলের রাজ্য সভাপতির নির্দেশেই তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর কথায়,'যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদের আমরা সাহায্য করব। আমাদের কাছে জানালে রাজ্য সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেব।' আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে উপায় হবে, সংযোজন তাঁর। সম্প্রতি বর্ধমানে একটি দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বড়নীলপুর এলাকায় একটি পথসভা হয়েছিল তখন। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, ' দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিন। যাঁরা টাকা দিয়েও চাকরি পাননি তাঁরা জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। তাঁদের নাম গোপন রাখা হবে।' তবে বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, অভিযুক্ত নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিলেন সুকান্ত। সেই মর্মেই দায়িত্ব নিতে বলা হয়।
সরব তৃণমূল...
বিজেপির এই ফ্লেক্স নিয়ে এই মুহূর্তে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য, কারও এই ধরনের সমস্যা হলে প্রশাসনের কাছে যাবেন। পুলিশের কাছে যাবে। বিজেপি অফিসে কেন যাবে? তৃণমূল নেতার দাবি, 'আসলে বিজেপি জানে কারা টাকা নিয়েছে। তাদের যোগসাজশেই এসব হয়েছে।' প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীরা তোপ দাগছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে বিজেপির এই ফ্লেক্স শাসকদলকে বাড়তি কোনও অক্সিজেন জোগাবে না তো? জল্পনা শুরু হয়েছে এর মধ্যেই।
আরও পড়ুন:সাতসকালে রানিকুঠিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা