Kuntal Ghosh: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে কুন্তল ঘোষ
Recruitment Scam: টাকার উৎস বলতে হবে, কুন্তলের আইনজীবীর উদ্দেশে মন্তব্য বিচারকের।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হল কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh)।
পাশাপাশি এদিন প্রশ্ন উঠেছে, টলিউডে (Tollywood) নিয়োগ দুর্নীতির অভিশাপের শিকড় কি আরও গভীরে? আরও একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর কুন্তল ঘোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে?
ইডি (ED) সূত্রে অন্তত সেরকমই ইঙ্গিত। ইডি সূত্রে খবর, তাদের নজরে রয়েছেন টালিগঞ্জের আরও অন্তত ৪-৫ জন অভিনেতা-অভিনেত্রী। আগামী সপ্তাহে তাঁদের তলব করতে পারে ইডি, খবর সূত্রের। 'কুন্তলের ২টি অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টে গিয়েছে টাকা। পার্টনারশিপ ফার্ম তৈরি করে শর্ট ফিল্ম তৈরির জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছিল। বনি সেনগুপ্ত ও সোমা চক্রবর্তী প্রায় ১ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু এত টাকার উৎস কী, সদুত্তর দিতে পারেননি কুন্তল', দাবি ইডির আইনজীবীর।
সূত্রের খবর, বিচারকের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কুন্তলের আইনজীবীকে। 'সাড়ে ৬ কোটি টাকার উৎস কী? আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকার লেনদেন হয়েছে, জবাব আপনাকেই দিতে হবে,' কুন্তলের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন বিচারকের। সব সাদা টাকা, পাল্টা দাবি কুন্তলের আইনজীবীর। তবে থেমে থাকেননি ইডির আইনজীবীও। 'সাদা টাকা বলে কিছু হয় না, সেই টাকা কোথা থেকে এল সেটা বলতেই হবে। অ্যাকাউন্টে যদি ৫০ হাজার টাকাও আসে, বলতে হবে তার উৎস কী? আপনি ৫ কোটি টাকা নিলেন, ট্যাক্স দিলেন, সেটা সাদা হয়ে গেল?' কুন্তলের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন বিচারকের।
'আপনি ৫০টি বাড়ি-গাড়ি করতে পারেন, কিন্তু টাকার উৎস বলতে হবে,' কুন্তলের আইনজীবীর উদ্দেশে মন্তব্য বিচারকের।
এদিকে, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (Account Frozen) করা হল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। ফ্রিজ করা হল শান্তনুর ২৫টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রায় দেড় কোটি টাকা (1.5 Crores) রয়েছে। ফ্রিজ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলি শান্তনু, তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও তাঁদের সংস্থার, খবর ইডি সূত্রে। কয়েকজন প্রভাবশালীর নির্দেশ কাজ করেছি, দাবি শান্তনুর, জানা গিয়েছে আরও।
এর আগের দিন রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়েছিল যে কুন্তল ঘোষ বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১ কোটি টাকা নগদ শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকার খোঁজেই, শান্তনু, তাঁর স্ত্রী ও সংস্থার কাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ওই অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে সেগুলি 'অ্যাটাচ' করা হবে। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে শান্তনুকে। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু জানিয়েছেন প্রভাবশালীদের নির্দেশেই তিনি কাজ করতেন। কুন্তল ঘোষকেও সেই জন্যই ব্য়বহার করতেন, দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন: বীরভূম দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়