Sandeshkhali Situation: ডাকাতির অভিযোগে সন্দেশখালিতে গ্রেফতার BJP কর্মী, থানা ঘেরাও রেখাদের, তুলকালাম পরিস্থিতি
Sandeshkhali Case: তুলকালাম পরিস্থিতি সন্দেশখালিতে।
সন্দেশখালি: ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতারি ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি সন্দেশখালিতে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ বসিরহাটের পদ্মপ্রার্থী রেখা পাত্রের। এর প্রতিবাদে সন্দেশখালি থানার সামনে বিজেপি-র বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি নেতা-কর্মীদের। বিজেপি-র প্রশ্ন, "অস্ত্র উদ্ধারে এখনও ধরা পড়েনি কেউ, অথচ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি কর্মী?" পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিশ আটকালে সন্দেশখালি থানার সামনেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ রেখাদের। (Sandeshkhali Situation)
এদিন ডাকাতির অভিযোগে ধৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা। এর পর তাঁর এবং অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও হয়, ধৃত বিজেপি কর্মীকে ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু থানায় ঢুকতে বাধা পান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে, কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পর থানার সামনেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। (Sandeshkhali Case)
রেখার বক্তব্য, "সব তৃণমূলের বানানো কথা। ঘরে ঘুমাচ্ছিল, তুলে নিয়ে গিয়ে ডাকাতির মামলা দেওয়া হচ্ছে। ডাকাতি করেছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। এই হার্মাদ বাহিনী ডাকাতি করেছে, মা-বোনের সম্ভ্রম লুঠ করেছে।" যদিও সন্দেশখালির তৃণমূলের বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, "গতকাল সন্ধেয় কিছু দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খেয়াঘাটে যারা সারাদিন খেটে পয়সা তুলেছিল, তাদের ভয় দেখিয়ে লুঠ করেছে। গুলিও চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এরা মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, চমকাচ্ছে। আমরা চাই, সন্দেশখালিতে শান্তি ফিরুক। সন্দেশখালি একটু স্বাভাবিক হয়েছিল, সেই আবহে কিছু দুষ্কৃতী আবার ভয় সৃষ্টি করছে।"
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার ব্য়বধানে গুলি চালিয়ে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার না হলেও, শনিবার রাতের ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাকে ঘিরেই এই মুহূর্তে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি।
শনিবার রাতে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের জেলিয়াখালির পিপড়াখালি ফেরিঘাটের মালিক রামকৃষ্ণ ঘোষকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুঠ করা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ সাত-আট জন দুষ্কৃতীর দল আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কয়েক হাজার টাকা লুঠ করে, এমনকি গুলিও চালায় বলে অভিযোগ করেছেন রামকৃষ্ণ। বিজেপি কর্মীরাই ডাকাতি অস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুঠ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রামকৃষ্ণ বলেন, "রাতে টাকা গোছাচ্ছিলাম। হঠাৎ বন্দুকের শব্দ পাই। দেখি, কয়েক জন ছেলে ছুটে আসছে। ওরা আমার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে টাকা লুঠ করে নিয়ে যায়। ১০-১১ হাজার টাকা ছিল। লাথি মেরে আমাকে ফেলে দেয়।" অজয় মিস্ত্রি, বাছা মিস্ত্রি, বাদল মণ্ডল, তরুণ মণ্ডল, ধর্মেন্দ্র সরকার, হাসা সরকার এবং সন্দীপ সরকার হামলা চালান বলে দাবি করেন রামকৃষ্ণ। তাঁরা তৃণমূল করেন বলেই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন রামকৃষ্ণের ছেলে। বিজেপি-র দুষ্কৃতীরাি হামলার নেপথ্যে বলে অভিযোগ তাঁর।
এই ঘটনায় জেলিয়াখালির বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী ধর্মেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রতিবাদে রবিবার সন্দেশখালি থানার সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এর আগে, শুক্রবার জেলিয়াখালির পিপড়াখালি ফেরিঘাট এলাকায় কটি ভাঙা লং ব্যারল রাইফেল উদ্ধার করে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় গোলাম শেখ নামে এক দুষ্কৃতী-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও কেউ গ্রেফতার হননি এখনও পর্যন্ত। সেই আবহে ফেরিঘাটের মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি কর্মীর গ্রেফতারি ঘিরে অশান্তি মাথাচাড়া দিয়েছে।