TMC News : তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলাম !
Santanu Sen : আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর, কার্যত মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারের উল্টো সুরে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছিলেন শান্তনু সেন। তারপর তাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আশাবুল হোসেন, কলকাতা : তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলাম । দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল তাঁদের। এমনই জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তাঁর বক্তব্য, এরা দলের শৃঙ্খলা-বিরোধী নানারকম কাজ করছিলেন। যা দলের ভাবমূর্তির পক্ষে ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতিতে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে আরাবুল ইসলাম এবং শান্তনু সেনকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে।"
আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর, কার্যত মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারের উল্টো সুরে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছিলেন শান্তনু সেন। তারপর তাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শান্তনু সেনের নিরাপত্তাও তুলে নেয় রাজ্য সরকার। তার পরেও আরও ডানা ছাঁটা হয় তাঁর। সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে অপসারিত করা হয় শান্তনু সেনকে। NRS মেডিক্যালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যদিও সম্প্রতি ফের আইএমএ বাংলা শাখার রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হন শান্তনু সেন।
ভোটে জিতে সপ্তম বার, ইন্ডিয়ান মেডিক্য়াল অ্য়াসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার রাজ্য সম্পাদক হন চিকিৎসক নেতা। আর জি করকাণ্ডে মুখ খোলায় তৃণমূলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে একের পর এক পদ হারালেও, তখনকার মতো স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন তিনি। ফের একবার দলের রোষে পড়তে হল তাঁকে। যদিও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিনকয়েক আগে ডায়মন্ড হারবার ডাক্তারদের নিয়ে যে সম্মেলন করেছিলেন, সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন এই চিকিৎসক নেতা। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য শান্তনু সেনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর এদিন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে দলবিরোধী বিভিন্ন কাজের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করে।
ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। যাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিতর্কের পর বিতর্ক। ২০১২ সালে ভাঙড় কলেজে ঢুকে অধ্যাপিকাকে জলের জগ ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সময় তিনি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন ! এই আরাবুলকেই একসময় 'তাজা নেতা' আখ্য়া দিয়েছিলেন মদন মিত্র ! ২০১৪ সালে আরাবুলকে ৬ বছরের জন্য় বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। কিন্তু, দেড় বছরের মধ্য়েই তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এবার ফের দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল।