SFI Agitation: একাধিক দাবিতে রাস্তায় বাম ছাত্র নেতারা, কসবায় এসএফআইয়ের পথ অবরোধ
Kolkata News: মাথার উপর চাঁদি ফাটা রোদ। তার মধ্যেই দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ। কারও ডায়ালিসিস চলছে। কেউ বেরিয়েছিলেন হাসপাতালে ভর্তি প্রিয়জনকে দেখতে।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বন্ধ স্কুল খোলা ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিল চালুর দাবিতে কসবায় এসএফআইয়ের পথ অবরোধ (SFI Agitation)। যানজটে নাকাল হতে হল সাধারণ মানুষ। রাস্তা আটকে দীর্ঘক্ষণ চলে সভা। অভিযোগ, শত অনুরোধেও সাড়া দেননি এসএফআই নেতা-কর্মীরা। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ওঠে অবরোধ।
কসবায় এসএফআইয়ের পথ অবরোধ: মাথার উপর চাঁদি ফাটা রোদ। তার মধ্যেই দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ। কারও ডায়ালিসিস চলছে। কেউ বেরিয়েছিলেন হাসপাতালে ভর্তি প্রিয়জনকে দেখতে। কেউ যাচ্ছিলেন অন্য কাজে। ভরদুপুরে কসবা ডিআই অফিসের সামনে এসএফআইয়ের অবরোধের জেরে সময়ে গন্তব্য়ে পৌঁছতে পারলেন না কেউই। তীব্র গরমে মধ্যেই দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হল রাস্তায়। অভিযোগ, শত অনুরোধেও সাড়া দেননি এসএফআই নেতা-কর্মীরা। ডিআই অফিসের সামনের রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। রাস্তাতেই চলে সভা।
বন্ধ স্কুল খোলা ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিল চালুর দাবিতে বুধবার বালিগঞ্জ থেকে মিছিল করে কসবা ডিআই অফিসের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। অভিযোগ, আন্দোলনের জন্য সাধারণ মানুষের অসুবিধাকে আমলই দিতে চায়নি এসএফআই নেতৃত্ব। প্রায় ২ ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। প্রথমে রাস্তার একদিক দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন আটকে পড়া যাত্রীরা।
এদিকে সভার অনুমতি দিয়েও, তা বাতিল করেছিল প্রশাসন।শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে, সেই অনুমতি আদায় করেছে আনে সিপিএম। মঙ্গলবার বারাসাতের কাছারি ময়দানের সেই সভা থেকে আগাগোড়াই তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সপ্তমে সুর চড়ায় সিপিএম। মঙ্গলবার ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায়, ভিড়ে ঠাসা কাছারি ময়দানের সভা থেকেই, কার্যত পঞ্চায়েত ভোটের আবহ তৈরির চেষ্টা শুরু করে দিল সিপিএম। সোমবার একই দিনে, কলকাতা হাইকোর্টের জোড়া নির্দেশে, সিপিএমের হাসি চওড়া হয়েছে। বারাসাতের কাছারি ময়দান এবং হাওড়া ময়দান দুই জায়গাতেই সিপিএমকে সভা ও মিছিলের অনুমতি দিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, "সব রাজনৈতিক দলেরই শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-মিটিং করার অধিকার আছে।''
আরও পড়ুন: Viral Video: মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড