SIR in Bengal: রাজ্য জুড়ে SIR-শুনানি, কাদের নথি দিয়ে নাম তুলতে হবে ? কী নির্দেশ কমিশনের ? কোন কোন নথি দেওয়া যাবে ? রইল বিস্তারিত
EC On SIR Hearing: আজ রাজ্য জুড়ে SIR-শুনানির দ্বিতীয় দিন, কাদের নথি দিয়ে নাম তুলতে হবে ? কোন কোন নথি দেওয়া যাবে ? কী বলছে এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন

কলকাতা: আজ রাজ্য জুড়ে SIR-শুনানি। নো ম্যাপিংয়ে থাকা ৩২ লক্ষ ভোটারের শুনানির দ্বিতীয় দিন। ২০০২-র তালিকায় যোগসূত্র না মেলা ভোটারদের আজও শুনানি। যাঁদের নামের বানান ভুল রয়েছে, ডাকা হচ্ছে তাঁদেরকেও। খসড়ায় ১ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি ভোটারের তথ্যে অসঙ্গতি, দাবি কমিশন সূত্রে। কমিশনের নির্দেশ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নিজেদের বা মা-বাবার নাম নেই, তাঁদের নথি দিয়ে নাম তুলতে হবে। এক্ষেত্রে কোন কোন নথি দেওয়া যাবে? দেখুন একনজরে।
আরও পড়ুন, আটক হুমায়ুন কবীরের ছেলে !
কমিশনের নির্দেশ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নিজেদের বা মা-বাবার নাম নেই, তাঁদের নথি দিয়ে নাম তুলতে হবে। এক্ষেত্রে কোন কোন নথি দেওয়া যাবে? কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। বার্থ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা তার পরের শিক্ষাগত যোগ্য়তার সার্টিফিকেট, রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র, ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র,
কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার, জমি অথবা বাড়ির দলিল। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড দেখানো যাবে। তবে তা দেখিয়ে নাগরিকত্বের দাবি করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের এ কে ঘোষ মেমোরিয়াল স্কুলে শুনানিতে লম্বা লাইন। গুরুতর অসুস্থকেও দাঁড়াতে হচ্ছে লাইনে। যাদবপুর থানার তালতলার বাসিন্দা অম্লান কুসুম করকে দেখা গিয়েছে লাইনে। যাদবপুরের তালতলার বাসিন্দা অম্লানকুসুম কর গুরুতর অসুস্থ। তার উপর হাতে সংক্রমণ। সেই অবস্থাতেই হিয়ারিংয়ে ডাক পেয়ে রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের এ কে ঘোষ মেমরিয়াল স্কুলে এসেছিলেন তিনি।
যাদবপুর তালতলার ভোটার অম্লানকুসুম কর বলেন,কাগজপত্র আমার সমস্ত সবই আছে। কিন্তু আমি যদি জানতাম যে, বাড়িতে গিয়ে এটা করবে, আমার খুব সুবিধা হত।তাহলে আমাকে আর আসতে হত না। আসল সমস্যাটা হচ্ছে, বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারছি না। যেহেতু ২০০২-তে নামটা নেই, আপনাকে এখানে এসেই করতে হবে। টালিগঞ্জের বাসিন্দা, গৌরী রায়চৌধুরী। হিয়ারিংয়ে তাঁর ডাক পড়েছিল কালীঘাটের শাহনগর হাইস্কুলে। টালিগঞ্জের বাসিন্দা গৌরী রায়চৌধুরী বলেন,' শুধু হেনস্থা করা। আমার ২০০২-এ কী করে যে ভোটটা বাদ গেল, জানি না। কোনওদিন আমার ভোট বাদ যায়নি। ভোট দিয়েছি, সব করেছি। এখন ওঁরা দেখে বলছে, না আপনার নাম নেই। এখন এখানে আসার পরে, দেখার পরে বলছে, না আপনার মায়ের (নথি গ্রাহ্য) হবে, আপনি তো অরিজিন্যাল। তাহলে ডাকলেন কেন? '
ভোটার অশোককুমার রায় বলেন, 'কোনও কারণে আমাকে বাড়ি থেকে কিছুদিন বাইরে থাকতে হয়েছে। ২০০২ সালে যে সময়টায় নাম নেই বলছেন, সেটা অন্য জায়গায় এখানে-ওখানে দু-তিন জায়গায় ভাড়া থেকেছি। তারপর ভোট দিতে এসে দেখছি, নাম নেই। বর্তমানে আমি একটা জায়গায় এসেছি ভাড়া। সেই ঠিকানা ভোটার কার্ডে নেই, পুরনো বাবার (ঠিকানা) আছে। আমার বাবা আজ বেঁচে থাকলে ১০০ বছর পুরো হত। তখনকার দিনে মানুষের জন্মতারিখ থাকত না। মোদির বাবার নামে কাগজ দেখাতে পারবে কিনা! আসল নেই। মোদির বয়স হয়তো আমার থেকে ২-১ বছর কম-বেশি হবে। '






















