Narendrapur Cheating Case: নকল সফ্টওয়্যারে বিকল্প Amazon প্ল্যাটফর্ম, নরেন্দ্রপুরে প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস
South 24 Parganas News: দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত এলাকায়, কামালগাজি বাইপাসের উপর একটি অভিজাত আবাসনে এই প্রতারণাচক্র কাজ করছিল।
রঞ্জিত হালদার, নরেন্দ্রপুর: অনলাইন কেনাবেচায় প্রতারণার ফাঁদ। এবার পর্দাফাঁস হল কামালগাজিতে। ইএম বাইপাসের উপর অভিজাত আবাসনে মানুষকে প্রতারণার কাজ চলছিল। নামী সংস্থার সফ্টওয়্যার নকল করে চলছিল মানুষ ঠকানোর কাজ। হাতে নাতে গিয়ে ধরল পুলিশ। আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক হয়েছেন আরও ৩০ জন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। (Narendrapur Cheating Case)
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত এলাকায়, কামালগাজি বাইপাসের উপর একটি অভিজাত আবাসনে এই প্রতারণাচক্র কাজ করছিল। পুলিশ জানিয়েছে, কল সেন্টারের আদলে সেখানে অনলাইন বিপণন সংস্থা অ্যামাজনের সফ্টওয়্যার নকল করে, অবিকল একই ধরনের প্ল্যাটফর্ম খুলে বসেছিলেন অভিযুক্তেরা। (South 24 Parganas News)
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নকল প্ল্যাটফর্মে দেশি-বিদেশি জিনিসপত্র সস্তায় তুলে ধরা হতো। অ্যামাজন ভেবে ওই প্ল্যাটফর্মে ঢুকে কেনাকাটা করতেন মানুষজন। সেই মর্মে আগেভাগে টাকা ডিপোজিটও করে দিতেন গ্রাহকরা। কিন্তু বরাত পাওয়া জিনিসপত্র নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে না পাঠিয়ে, তাঁর ডিপোজিট করা টাকা আত্মসাৎ করে নিতেন অভিযুক্তেরা। প্রায় ১৫০ যুবক এবং যুবতী এই প্রতারণাচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro:ফের আত্মহত্যার চেষ্টা কলকাতা মেট্রোয়, ধাক্কা পরিষেবায়
গোপন সূত্রে ওই প্রতারণাচক্রের হদিশ পায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এর পর বিরাট বাহিনী নিয়ে গিয়ে আবাসনের ঘরটি ঘিরে ফেলা হয়। সেখানে পুলিশকে দেখেই পিঠটান দিতে শুরু করেন কয়েক জন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বেশ কিছু ক্ষণ, তাতে দু'পক্ষেরই কয়েক জন আহত হয়েছেন। প্রতারণাচক্রের সঙ্গে যুক্ত অনেকে পালিয়ে গেলেও, ৩৮ জন পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন।
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩০ জনকে আটক করে রাখা হয়েছে থানায়। আবাসনের ঘরে প্রচুর জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে। ঘরটি বাইরে থেকে সিল করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, কম্পিউটার এবং অন্য়ান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আবাসনের যে ঘর থেকে এই প্রতারণাচক্র চলছে, তার ঠিক নিচেই রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখা। রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের ঠিক উপরের তলায় কী করে সকলের নজর এড়িয়ে কাজ করছিলেন অভিযুক্তেরা, উঠছে প্রশ্ন। এই প্রতারণাচক্রের মাথা কে, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।