SSC Job Loss: রাত কাটছে শহিদ মিনার চত্বরে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রমে চাকরিহারারা
SSC Case: স্বেচ্ছাশ্রমের আবেদনে সাড়া মিলল না। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও স্কুলমুখী হচ্ছেন না চাকরিহারারা।

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অনুরোধ সাড়া দিয়ে স্কুলে গেলেন না চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট দিশা না মেলায় আগামীদিনে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিচ্যুতরা। দুর্নীতির কথা এড়িয়ে কেন অযোগ্যদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
স্কুলে গেলেন না চাকরিহারারা: স্বেচ্ছাশ্রমের আবেদনে সাড়া মিলল না। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও স্কুলমুখী হচ্ছেন না চাকরিহারারা। আরও একটা রাত কাটালেন শহিদ মিনার চত্বরে খোলা আকাশের নীচে। উগরে দিলেন ক্ষোভ। চাকরিহারা চিন্ময় মণ্ডল বলেন, "আমরা চরমপন্থী আন্দোলনের দিকে যাচ্ছি। স্কুলে তো আমরা যাবই না। প্রথমত, মিরর ইমেজ আপনারা কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন, কোথায় আছে, খুঁজে বার করুন, প্রোডিউস করুন যে কোনও মূল্যে। দুই নম্বর, যোগ্য-অযোগ্যের লিস্ট আলাদা করে, সার্টিফায়েড করুক SSC, এটা সুুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব নয়, এটা SSC’র দায়িত্ব আলাদা করা। তৃতীয়ত, আমরা আর কোনও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না। কারণ, এটা আমাদের কাছে অসম্মানজনক, আমাদের কাছে ভলান্টারি সার্ভিস দেওয়া অসম্মানজনক।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে যোগ্যদের চাকরি থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি, অযোগ্য়দের উদ্দেশেও বার্তা দেন মুখ্য়মন্ত্রী। তাতে ক্ষুব্ধ চাকরিহারা শিক্ষকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আগে যোগ্যদেরটা হয়ে যাক। বাদবাকি যাঁরা থাকবেন যাঁদের অযোগ্য বলা হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ আছে আমি দেখব।'' মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। চাকরিহারা চিন্ময় মণ্ডলের কথায়, "উনি (মুখ্যমন্ত্রী) এটাও বলেছেন, এখন যোগ্যদেরটা ভাবছি, পরবর্তীতে অযোগ্যদেরটা ভাবব...এটা কখনও মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন? যোগ্য-অযোগ্য যে দুর্নীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই জিনিসটা গোটা দেশ, গোটা রাজ্য এমনকী, বিশ্বব্যাপী জানে, সেখানে উনি আবার অযোগ্যদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন! এটা তো হতে পারে না। উনি কি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন? কারণ, এই রাজ্য সরকারের দুর্নীতির জন্য আজকে আমাদের এই অবস্থা।
নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন কবি-সাহিত্যিকরা। তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের। এক চাকরিহারা বলছেন, "যেখানে ক্ষুধার রাজ্য চলে, সেখানে সবই গদ্যময় হয়। তাই আমাদের এখন কবি-সাহিত্যিকের প্রয়োজন নেই। আমাদের এখন আইনজ্ঞ বা যাঁরা আধিকারিক, তাঁদের প্রয়োজন আছে। কালকে আসা উচিত ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যিনি আছেন দায়িত্বে তাঁর, স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের, এদের আসার কথা ছিল। যাঁরা একটা সুরাহা বার করতে পারবেন। আমরা ওঁদের কথা শুনতে চেয়েছিলাম...আমরা কোনও কবিতা শুনতে যাইনি, আমরা কোনও সাহিত্য শুনতে যাইনি ওখানে।''






















