Jiban Krishna Saha: গ্রেফতারির মাঝেই জীবনকৃষ্ণর ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে
Jiban Krishna Saha Video: যাঁর বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে, সেই তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বারবার বলে চলেছেন টাকা কোথায় পাব?

কলকাতা: জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারির মধ্য়েই সামনে এল এক ভাইরাল ভিডিও। যেখানে তৃণমূল বিধায়কের সামনে বারবার টাকা ফেরতের আর্জি জানাচ্ছেন একজন। আর কার্যত নির্বিকার জীবনকৃষ্ণ! ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঘরের ভিতর সোফার মধ্য়ে বসে রয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। উল্টোদিকের ব্য়ক্তি সমানে তাঁর কাছে টাকা ফেরতের অনুরোধ করে যাচ্ছেন। যাঁর বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে, সেই তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বারবার বলে চলেছেন টাকা কোথায় পাব? সিবিআই-এর দাবি শিক্ষকতার চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকের থেকে টাকা নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা! একেক জনের থেকে একেক রকম অঙ্ক!
নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে জীবন, অ্যাকাউন্টে 'দুর্নীতির কোটি টাকা'! নিয়োগ দুর্নীতির সময়েই সস্ত্রীক বিধায়কের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২০ লক্ষ! বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের একাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ধাপে ধাপে তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর স্ত্রীর নামে অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা হয়েছে। ধাপে ধাপে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। কিন্তু এর উৎস কী? জেরার মুখে কিছু না জানার দাবি তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। ED সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে জেরায় অসহযোগিতার অভিযোগ কেন্দ্রীয় এজেন্সির। জেরায় অসহযোগিতা, তাহলে কেন ফের হেফাজতে না চেয়ে জেল চাইল ED? অন্যান্য দিক থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে, কোর্টে সওয়াল ED।
উল্লেখ্য়, ২০২৩-এর ১৭ এপ্রিল SSC নবম-দশম নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার গ্রেফতার হন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারির আগে নাটকীয়তা কম ছিল না। গ্রেফতারির ৩ দিন আগে, অর্থাৎ, ১৪ এপ্রিল... দুপুর ১২টায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বড়ঞার বাড়িতে পৌঁঁছে যায় CBI। কিন্তু, বিকেল পাঁচটা নাগাদ, ঘটে যায় নাটকীয় ঘটনা!আচমকা গোয়েন্দাদের থেকে নিজের ২ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে, সেগুলি বাড়ি লাগোয়া পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক! কিছুদিন আগে ফের জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করল ED. ব্যাঙ্কশাল আদালতে আনা হচ্ছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে। বিধায়ক ও তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে, খবর ED সূত্রে।
এবারও নিজের মোবাইল পাশের ঝোপে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। নিজেও পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইডির আধিকারিকা তাঁকে ধরে ফেলেন।





















