(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Suvendu Adhikari : 'ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব', ফের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
BJP : কাকে বড় ডাকাত বললেন বিরোধী দলনেতা ? কাকে ধরার কথা বলছেন তিনি ? কেন্দ্রীয় এজেন্সি কি কাউকে গ্রেফতার করতে চাইছে ? সে কথাই কি বলতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী ?
পূর্ব মেদিনীপুর : ডেডলাইনের পথে আর না হেঁটেও নতুন করে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভগবানপুরের সভা থেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বার্তা, 'ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব।' পাশাপাশি কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'ছোট ডাকাতকে আপনারা উপড়ে নেবেন তো?'
সঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে ফের আক্রমণ শানিয়ে তাঁর সংযোজন, 'চোরদের গ্রাম থেকে তাড়াতে হবে, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে'। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'যাঁরা ঘর পাননি, তাঁদের একজোট করুন, জনস্বার্থ মামলা করব। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে, টাকা ফেরত করাবোই'।
কার দিকে ইঙ্গিত ?
শুভেন্দু অধিকারীর যে মন্তব্যের পরই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। কাকে বড় ডাকাত বললেন বিরোধী দলনেতা ? কাকে ধরার কথা বলছেন তিনি ? কেন্দ্রীয় এজেন্সি কি কাউকে গ্রেফতার করতে চাইছে ? সে কথাই কি বলতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী ?
রাজ্যে এখন নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট। আর এই প্রেক্ষাপটেই শুভেন্দু অধিকারীর হুঙ্কারে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুর চড়িয়ে এদিন বলেছেন, 'এই চোরেদেরকে সাফাই করতে হবে। বড় চোর-ডাকাতটাকে ডিসেম্বরে পারিনি, এর মধ্যে ধরব। বড় ডাকাতটাকে আমরা তুলব। ছোটগুলোকে আপনারা একদম, থেকে উপড়াবেন তো? সব গ্রাম রেডি তো? সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরেদের তাড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার, ডাবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে'।
ডিসেম্বর ডেডলাইন-তরজা
এর আগে ডিসেম্বর ডেডলাইনের উল্লেখের পর তিনটি দিনের উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ডিসেম্বরের ১২, ১৪ এবং ২১ এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ওয়েট এন্ড ওয়াচ। বিরোধী দলনেতার উল্লেখ করা এই ৩ দিনে, রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কোনও ঘটনা না ঘটলেও ১২ ডিসেম্বর, বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। এরপর ২১ ডিসেম্বর, তেমন কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি রাজ্য-রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন- বাংলার মানুষের জন্য তৃণমূলের নতুন অ্যাপ দিদির দূত, ঘোষণা অভিষেকের, কী সুবিধে এতে