Suvendu Adhikari : বিধানসভায় ফের সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা, 'তৃণমূল পাকিস্তানের দালাল', নিশানা শানালেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari Suspended : ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান।

কলকাতা : বিধানসভায় ফের সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা। চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। ৪ সেপ্টেম্বর বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের শেষ দিন। নিয়ম না মেনে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে বাইরে এসে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মেয়ো রোডে মঞ্চ খোলার পর এদিন সেনার ট্রাক আটকায় পুলিশ, এনিয়ে বিধানসভায় সরব হয় বিজেপি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। একইসঙ্গে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির অন্যান্য বিধায়করাও।
বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু বলেন, "আজ ব্রাত্য বসু যখন ভারতীয় সেনাকে অপমান করেন, তাদের গায়ে রাজনীতির ছোঁয়া লাগান এবং বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে ভারতীয় সেনার তুলনা করেন গতকাল অবৈধ ছাবড়া ভাঙা নিয়ে, আমরা ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ, হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ, ভারতীয় সেনার অপমান মানছি না মানব না...এবং ভারতীয় সেনা সম্পর্কে ওঁর বক্তব্য বিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিলাম। অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে এই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়...অরূপ বিশ্বাসের কথায় অফিসিয়াল প্রস্তাব না এনে তাঁর চেয়ার থেকে তিনি বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করেন। আমি গর্বিত যে, রামপুরহাটের বগটুইতে মুসলমান মহিলা-শিশু পোড়ানোর জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাকে সাসপেন্ড করেছিল। পরবর্তীকালে দেবীদুর্গার মূর্তি ভাঙা নিয়ে আমাকে সাসপেন্ড করেছিল। আজ ভারতীয় সেনার হয়ে বলার জন্য, ভারতীয় সেনাকে অপমান এবং রাজনীতিকরণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমি গর্বিত ভারতীয়, আমি আমার সেনার জন্য গর্ব অনুভব করি এবং তৃণমূল পাকিস্তানের দালাল।"
যদিও বিরোধী দলনেতার অভিযোগ উড়িয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, "১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, খান সেনার দল ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে নিরীহ সাধারণ নিজের রাষ্ট্রের বাঙালির উপর গুলি চালিয়েছিল কি চালায়নি ? ইতিহাসকে কি মুছে ফেলতে পারি নাকি ? ইতিহাসকে আমরা মুছে ফেলতে পারি না। যা সত্য তা সত্য। '৭১ সালের ২৫ মার্চের পর সেই দিনটা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের দাবি আরও জোরাল, আরও পাকাপোক্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ঘটনার জন্য আমি যদি পাকিস্তান সেনার নিন্দা করে থাকি, আমি বেশ করেছি। আবার করব। পাকিস্তান সেনা সেদিন যেটা চালিয়েছিল, একটা বর্বর, অমানুষিক ঘটনা। পাকিস্তান সেনাকে নিন্দা করব না তো কী করব '৭১ সালের ঘটনায় ?"























