Tilottama Majumdar: পুরসভা হোক রাজনীতি নিরপেক্ষ, ফিরহাদের সামনেই দাবি তিলোত্তমার
Tilottama Majumdar: পুরসভাকে রাজনীতিমুক্ত না করতে পারলে শহরবাসীর মুক্তি নেই বলে মনে করেন তিলোত্তমা। তাঁর কথায়, “রাজনীতির আওতায় থাকলে সরকারের প্রতি মুখাপেক্ষিতা তৈরি হয়।”
কলকাতা: ফের একটা ভোট মিটল। তার সঙ্গে সাঙ্গ হল ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতিপর্বও। কিন্তু কলকাতার নয়া পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) কাছে কলুষমুক্ত শহর গড়ে তোলার দাবি জানালেন সাহিত্যিক তিলোত্তমা মজুমদার (Tilottama Majumdar)। তাঁর মতে, কলকাতা তখনই তিলোত্তমা হয়ে উঠবে, যখন শহরের মানুষ দূষণমুক্ত বাতাসে প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারবেন।
এবিপি আনন্দ আয়োজিত ‘যুক্তি-তক্কো’ অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সঙ্গেই অংশ নেন তিলোত্তমা। সেখানে তিনি বলেন, “অস্বীকার করার উপায় নেই, কলকাতা আগের চেয়ে অনেক পরিষ্কার হয়েছে। আবর্জনা তুলে নিয়ে যাওয়া-সহ নানা ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু নগরবাসীর ভাল জীবনের জন্য তা যথেষ্ট কি? এই শহরে ফুসফুসের (Lung Disease) রোগ মহামারির আকার নিয়েছে। দূষিত বাতাসে শ্বাস নিয়ে শিশু এবং বৃদ্ধরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এই শহরকে দূষণমুক্ত করার দায় পুরসভার উপরই বর্তায়।”
আরও পড়ুন: Firhad Hakim Updates: দুর্গাপুজো করতে দিই না! ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কী ভাবে? প্রশ্ন ফিরহাদের
তবে পুরসভাকে রাজনীতিমুক্ত না করতে পারলে শহরবাসীর মুক্তি নেই বলেও মনে করেন তিলোত্তমা। তাঁর কথায়, “যে সংস্থা যত বেশি আত্মনির্ভর, তার ক্ষমতা তত বেশি। তার জন্য আয় বাড়াও প্রয়োজন। তাহলেই স্বাধীন ভাবে, সাফল্যের সঙ্গে অনেক বেশি কাজ করা সম্ভব। কিন্তু পুরসভা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনীতির আওতায় চলে আসে। আর সেখানেই সরকারের প্রতি মুখাপেক্ষিতা তৈরি হয়।”
নাগরিক জীবনে পরিবর্তন ঘটাতে চাইলে সবার আগে কলকাতা পুরসভার বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষপাতী তিলোত্তমা। তাঁর যুক্তি, শহরের বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে যেমন সুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে, তাতে উপকৃত হন সাধারণ মানুষই। কারণ প্রতিযোগিতায় উন্নত পরিষেবা পান সকলে। বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে, পুরসভাগুলির মধ্যেও অন্যের চেয়ে ভাল করে দেখানোর তাগিদ তৈরি হবে। তাতেই রাজনীতিমুক্ত হবে পুরসভা। সরকারের উপর নির্ভরশীলতা কমবে। তাতে নগরবাসীরই কল্যাণ।