(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Abhishek Attacks Suvendu : 'অকৃতজ্ঞ', 'ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে দিল্লির কাছে বিক্রি', নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা অভিষেকের
Abhishek Banerjee : বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, 'দরজা খুললে বিজেপি উঠে যাবে, এখন যদি দরজা খুলি দল উঠে যাবে। আমি আটকে রেখেছি আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।
হলদিয়া : 'তুমি অকৃতদার নও, অকৃতজ্ঞ'। 'ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে পূর্ব মেদিনীপুরের আবেগকে দিল্লির কাছে বিক্রি করেছে’। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুকে দাঁড়িয়ে তাঁর নাম না করে এভাবেই আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
শুভেন্দুকে আক্রমণ অভিষেকের
তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলদিয়ায় আইএনটিটিইউসি-র সভা থেকে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে বলেন, 'এই জেলার সর্বেসর্বা বলে যিনি নিজেকে দাবি করতেন তিনি এখন ইডি-সিবিআই-এর ভয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে দিল্লি তল্পিবাহকতা করে দিন থেকে রাত কাটাচ্ছেন।' আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, 'দুবার তলব করিয়ে আমার মাথা নত করতে বাধ্য করেছো, আর আমরা তোমাদের দু'জন সাংসদকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ করে তৃণমূলে নিয়ে এসে তোমাদের মাথা দু'বার নত করিয়েছি।'
বিজেপিকে হুঁশিয়ার
বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, 'দরজা খুললে বিজেপি উঠে যাবে, এখন যদি দরজা খুলি দল উঠে যাবে। আমি আটকে রেখেছি আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। বুথে যারা যারা বসেছিল গদ্দার, মীরজাফররা, তারা নির্বাচনের ৪-৫ দিন আগে বিজেপি করা শুরু করে। আমার কাছে সব তালিকা আছে। কে অনুগামী সেজে দলের ভিতরে ঢুকে দলের বারোটা বাজিয়েছে সেটা আমার জানা আছে। আসতে আসতে পাঁচ-ছজনকে চিহ্নিত করেছি। এই মিটিংয়েও আছে। পয়লা মে কোন নেতা, কোন শ্রমিক ভাই পদ্মফুলের কাছ থেকে বিএমএসের ঝান্ডা তুলেছ, আর পরের দিন তৃণমূলে ঝাঁপ দিয়েছ সেই তালিকা আমার কাছে।'
বিচারব্যবস্থা প্রসঙ্গে খোঁচা
এ দিন হলদিয়ায় দলের শ্রমিক সংগঠনের সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অভিষেক। সেখানে তিনি বলেন, "আমার বলতে লজ্জা লাগে। কিন্তু বিচারব্যবস্থায় এক শতাংশ এমন আছেন, তল্পিবাহকের কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছেন। আপনার যদি মনে হয়, এই সত্যি কথা বলার জন্য ব্যবস্থা নেবেন, ক্যামেরার সামনে দু'হাজার বার এই কথা বলব।" অভিষেক আরও বলেন, "খুনের মামলার তদন্ত আটকে দিচ্ছে। শুনেছেন কোনও দিন! আদালত চাইলে নিরাপত্তা দিতে পারে। আদালতের অধিকার আছে। কিন্তু খুনের মামলার তদন্ত স্থগিত করে দিতে পারেন না আপনি।"