Sukanta Majumdar: 'তৃণমূল থেকে সরছে সংখ্যালঘু সমর্থন ', বালিগঞ্জের ফলাফল প্রসঙ্গে সুকান্ত
Sukanta Majumdar on By Election: শনিবার বালিগঞ্জে (Ballygunge Assembly By Election) বিরোধীদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়।
কলকাতা: বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে (TMC) গিয়েছিলেন আগেই। বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জ নিজের হারকে বালিগঞ্জ দিয়ে পুষিয়েও ফেলেছেন। কিন্তু উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) জয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বালিগঞ্জে নিজেরা বামেদের থেকে পিছিয়ে গেলেও, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হওয়া নিয়েই মন্তব্য করতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, তৃণমূল থেকে সংখ্যালঘু ভোট সরছে।
বালিগঞ্জে বিরোধীদের পিছনে ফেললেন বাবুল সুপ্রিয়
শনিবার বালিগঞ্জে (Ballygunge Assembly By Election) বিরোধীদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। আর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও, উপনির্বাচনে সেখানে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে বিজেপি। বরং তাদের টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। আর তাতেই সংখ্যালঘু ভোটের তত্ত্ব উঠে এসেছে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির মুখে।
এ দিন বালিগঞ্জের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করলে সংবাদমাধ্যমে সুকান্ত বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে কিছুটা সরছে। আর তা সরলে বাম-কংগ্রেসেই যাবে, বিজেপি-তে আসবে না, সেটাই স্বাভাবিক।” বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পৌরসভা নির্বাচন এবং স্রবোপরি উপনির্বাচন, পর পর মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। তা নিয়ে সাম্প্রতি
আরও পড়ুন: Asansol Bypoll Result: আসানসোলে ৭ টি বিধানসভাতেই এগিয়ে তৃণমূল।Bangla News
যদিও এ সবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সুকান্ত। সাংগঠনিক শক্তি নয়, বালিগঞ্জে সিপিএম-এর ক্ষেত্রেও সংখ্যালঘু ভোটই শাপে বর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় আসেন, সেই সময় সিপিএম-এর তাঁবুতে যত লোক ছিল, তার এক তৃতীয়াংশ লোকও তৃণমূলের তাঁবুতে থাকত না। তবু তৃণমূল জিতেছিল। সিপিএম তো তখন অনেক শক্তিশালী ছিল। তাহলে কী ভাবে এল তৃণমূল? সাংগঠনিক শক্তি অবশ্যই অনেক বড় কথা, কিন্তু তার উপরই যে ভোট হয়, সে কথা সত্য নয়। সংখ্যালঘু ভোট এই মুহূর্তে কমছে। আগামী দিনে আরও কমবে বলেই মনে হয় আমার।”
বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭১ শতাংশ ভোট পেয়ে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী হয়েছিলেন প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ৩১ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি-র লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়। সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৮ হাজার ৪৭৪ ভোট। সেখান থেকে এ বার তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে বিজেপি। ফুয়াদের স্ত্রী সায়রা শাহ হালিমের হাত ধরে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম।