Dhupguri By Poll: উপনির্বাচনের দোরগোড়ায় দলবদল, বিজেপিতে প্রাক্তন TMC বিধায়ক
Jalpaiguri: বিজেপিতে যোগ দিলেন ধূপগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক
রাজা চট্টোপাধ্য়ায় ও শিবাশিস মৌলিক, জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে তৃণমূলে ধাক্কা। বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন মিতালি। ২০২১ সালে ওই আসনেই বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান মিতালি। তারপর থেকে দল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে তাঁর অভিযোগ।
যদি উপনির্বাচনের প্রচারে ধূপগুড়িতে (Dhupguri) অরূপ বিশ্বাস যখন যান, তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তারপরে প্রচারে দেখা যায় মিতালি রায়কে। শনিবার, ধূপগুড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভাতেও হাজির ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। তাঁকে উত্তরীয় পরান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ধূপগুড়িতে সভায় বক্তব্য রাখার সময়েও মিতালি রায়ের প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন। উত্তরবঙ্গে তৃণমূল সরকার যে উন্নয়ন করেছে তাঁর শরিক মিতালি রায়, এমনটাও বলেন অভিষেক।
তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার বিজেপিতে যোগ মিতালি রায়ের। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে নেন পদ্ম শিবিরের পতাকা। সূত্রের খবর, ক্ষোভ আগেই ছিল। ২০২১ সালে হেরে যাওয়ার পর থেকে নাকি দল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। এমনকী এবারও তিনি টিকিট পাবেন বলে ভেবেছিলেন কিন্তু তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। সেই কারণে নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন বলেও ভাবছিলেন বলে শোনা যায়।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মাস্টারস্ট্রোক না কি সুপার মাস্টারস্ট্রোক তা আপনারা বলবেন। উনি রাজবংশী সমাজের মুখ। সেই কারণেই কাজ করছেন। ওঁর বাবা শ্রদ্ধেয় বিধায়ক ছিলেন। উঁনিও বিধায়ক ছিলেন। আমরা খুব আনন্দিত উনি বিজেপিতে এসেছেন।
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিতালি রায় বলেন, 'আমি ছিলাম না। আমাকে দেখা যায়নি। আমি প্রচারেও ছিলাম না। চাপ দিয়ে বের করানোর চেষ্টা করল। আমি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করি, তাই উনি বলেছিলাম বলে বেরিয়েছি। তৃণমূল থেকে বহু চাপ দেওয়া হয়েছিল। আমি রাতেই সিদ্ধান্ত নিই যে আমি আর থাকব না। তার আগে ছাত্র রাজনীতি করেছি, কামতাপুরী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ২০১২ সালে তৃণমূল আমাকে নিয়ে আসে। সংগঠন করেছি। বিধায়ক হওয়ার পর কাজ করেছি। ২০২১ সালে হেরে যাওয়ার পর কোথায় ছিলাম বলতে পারেন।'
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, '২০২১ এর নির্বাচনের আগে বিজেপি তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকে যোগদান করিয়েছিল। নানারকম লোভ দেখিয়ে দলে আনানো হয়েছিল। কী হয়েছে তা আপনারা জানেন। এর ফলে কিছু হবে না।'
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, দক্ষিণবঙ্গে কবে-কোন জেলায় বৃষ্টি ? কী হবে উত্তরে ?