C V Ananda Bose: হাতেখড়িতে 'জয় বাংলা', রাতেই দিল্লিযাত্রা রাজ্যপালের, শাহ-ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ!
Suvendu Adhikari: বৃহস্পতিবার, সরস্বতী পুজোর দিন মমতার উপস্থিতিতে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্য়পালের। সেখানে মমতার সঙ্গে খোশগল্প করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।
অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, শিবাশিস মৌলিক ও বিশ্বজিৎ দাস: রাজভবনে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে প্রতীকী হাতেখড়ির পর, রাতেই দিল্লিতে যাচ্ছেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। বৈঠকের কথা রয়েছে বাংলার বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা অধুনা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গেও। হাতেখড়ি অনুষ্ঠান মেটার পর পরই রাজভবন সূত্রে এমন খবর সামনে এল।
দিল্লিতে শাহ-ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের!
বৃহস্পতিবার, সরস্বতী পুজোর দিন মমতার উপস্থিতিতে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্য়পালের। সেখানে মমতার সঙ্গে খোশগল্প করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। অনুষ্ঠানে মমতার পাশেই বসেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের স্ত্রীকেও গল্প করতে দেখা যায় মমতার সঙ্গে। এমনকি সৌজন্য ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা সামনে 'জয় বাংলা'ও বলতে শোনা যায় রাজ্যপালকে, যা এ রাজ্যে তৃণমূলের স্লোগান হিসেবেই পরিচিত।
আর তার পরই জানা গেল, রাতেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্য়পালের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে শাহের। বৈঠক রয়েছে ধনকড়ের সঙ্গেও। তাতেই প্রশ্ন উঠছে যে, সব মিলিয়ে, রাজ্য় রাজনীতিতে নবান্ন এবং রাজভবনের এক নতুন সম্পর্কের সূচনার মধ্য়েই কি ফের কোনও চমক অপেক্ষা করছে? ফের কি কোনও নাটকীয় মোড় আসতে চলেছে?
মাস দুয়েক আগে বাংলার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মমতা সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কই বজায় রেখে এসেছেন রাজ্যপাল। ধনকড় আমলের পর তাঁদের সৌজন্য়-সম্পর্ক বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। বঙ্গ বিজেপি মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে রাজভবনের এই বিশেষ সম্পর্কে অন্তন্ত অখুশি বলেও শোনা যায়। এ দিনের প্রতীকী হাতেখড়ি অনুষ্ঠানেও রাজ্য বিজেপি-র কাউকে দেখা যায়নি। বরং লাগাতার বিদ্রুপ করে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা।
তাহলে কি নতুন রাজ্য়পালকে দিল্লি থেকে বিশেষ কোনও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে? শুভেন্দুর কথাতে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। তাঁর বক্তব্য, "উনি দিল্লি যাচ্ছেন। অনেকের সঙ্গে দেখা করবেন। নিশ্চয়ই তাঁরা ওঁকে অনেক কিছু বলবেন।"
প্রতীকী হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের শেষে এ দিন যখন 'জয় বাংলা' বলতে শোনা যায় রাজ্যপালকে, সেই সময়ই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করে। কারণ বিজেপি-র 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনির মোকাবিলা করতে এ যাবৎ 'জয় বাংলা' শোনা গিয়েছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের মুখেই। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে গোড়াতে যদিও বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি। রাজ্যপাল বাংলা বোঝেন না, যা লেখা ছিল, তাই পড়েছেন বলে মন্তব্য করেন দলের নেতারা। শুভেন্দুও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এবং নন্দিনী রাজ্যপালকে লিখিত ভাষণে জয় বাংলা লিখিয়ে বলিয়েছেন। জয় বাংলা বাংলাদেশের স্লোগান। নিশ্চয়ই এটা রাজ্যপালকে অনেকে বলবেন।"
রাজ্য়পালকে দিল্লি থেকে বিশেষ কোনও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে!
এর প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "রাজ্যপাল বাংলা ভালবাসছেন, বাংলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাইছেন। তাই গা জ্বলছে।" তবে এ দিন রাজভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও। অনুষ্ঠানে গিয়ে ভালই লেগেছে বলে মন্তব্য করেন তিনিও। আর তার পরই জানা গেল, দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। তবে রাজভবন সূত্রে খবর, জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্য়পালের সাক্ষাৎ পূর্ব নির্ধারিত। অনেক দিন ধরেই বৈঠকের চেষ্টা হচ্ছিল, কিন্তু সময়ের অভাবে তা করা যাচ্ছিল না।