(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
WB Covid 19: রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ফের বাড়ল মৃত্যু, সংক্রমণ বেড়ে প্রায় ৪০০ ছুঁইছুঁই
West Bengal Covid 19 Updates: রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ফের বাড়ল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ল মৃত্যু লাফিয়ে।
কলকাতাঃ রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ফের বাড়ল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা (Covid Postive)। রাজ্য কোভিড বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, (WB Covid Bulletin) গত ২৪ ঘন্টায় সারা বাংলায় কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯৩ জন । যেখানে গত ৪৮ ঘন্টায় কোভিডে আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ১৭৫ জন। যা প্রায় দ্বিগুন হারে বাড়ল। এবং এখানেই শেষ নয়, গত ৭২ ঘন্টা আগে কোভিডে মৃত্যু শূন্য হয়েছিল রাজ্য, তারপর গত ৪৮ ঘন্টায় ১ জনের মৃত্যু এবং গত ২৪ ঘন্টায় তা লাফিয়ে এবার কোভিড ৪ জনের মৃত্যু রাজ্যের বুকে।
WB COVID-19 Daily Health Bulletin: 17 August 2022. A detailed snapshot of all relevant details on COVID-19 in WB. Keep checking.
— Department of Health & Family Welfare, West Bengal (@wbdhfw) August 17, 2022
পশ্চিমবঙ্গ কোভিড-১৯ দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিন: ১৭ আগস্ট ২০২২। পশ্চিমবঙ্গের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পেতে নজর রাখুন।#BengalFightsCorona pic.twitter.com/nqiOFHokQH
রাজ্য কোভিড বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘন্টায় সারা বাংলায় হোম আইসোলেশনের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬৪৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিডে হোম আইসোলেশনের সংখ্যা হয় ৪ হাজার ৪৩৪ জন। পাশাপাশি কমল পজিটিভিটি রেটও বাংলায়। গত ৪৮ ঘন্টায় সারা বাংলায় পজিটিভিটি রেট ছিল (Positivity Rate) ৩.৪৮ শতাংশ। কোভিড বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় তা হয় ৪.০৪ শতাংশ।প্রসঙ্গত, রাজ্যে কোভিডের প্রথম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষের ঢেউ অবধি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল দ্বিতীয় বর্ষ। কারণ ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে সবথেকে বেশি ভয়াবহতা দেখা দিয়েছিল সেবছরই। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে উৎকণ্ঠা থেকে শুরু করে হুড়োহুড়ি সবই ছিলব। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ যেমন অনেকে পাননি। তেমনই অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বাড়িও ফিরতে পারেননি। তারপর কোভিড বিধির জেরে প্রিয় জনের বিয়োগে, শেষ দেখাটাও দেখতে পারেনি পরিবার। কারণ সংক্রমণের ভয়াবহতা ছড়িয়েছিল সর্বত্র।
তবে তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে অল্প সময়ের মধ্যে সংক্রমণ তীরের বেগে বাড়তে থাকে। যদিও মৃত্যু হার বাড়েনি গত বছরের শেষ থেকে হয়ে চলা কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে। প্রচুর পরিমাণে পজিটিভ কেস হলেও সাধারণ মানুষ সেভাবে হাসপাতালে ভর্তি হননি। কারণ আক্রান্ত হলেও শরীর ততোটাও খারাপ হয়নি কারও। বিশেষজ্ঞদের মতে ওমিক্রনে পজিটিভ ব্যাক্তিরা সেহারে প্রাণ হারাননি। অর্থাৎ দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে পজিটিভ কেস বেশি হলেও, মৃত্যুর হার কম ছিল অনেকটাই। তবুও চটুর্থ ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েছে।