Higher Secondary: বাবা সবজি বিক্রেতা, আর্থিক অনটনকে হারিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় তুষার দেবনাথ, চোখে মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন
West Bengal Higher Secondary Result: তুষারের রেজাল্ট শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। অঞ্জনা দেবনাথ বলেন, 'এই ঘরে বৃষ্টি পড়ে। বই ঢাকতে হয়। আমি গর্বিত এই রকম ছেলে জন্ম দিয়েছি।'

শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার। বাজিমাত করল গ্রামীণ পড়ুয়ারা। বেস্ট ফাইভে ৫০০-র মধ্যে ৪৯৭ পেয়ে প্রথম পূর্ব বর্ধমানের রূপায়ণ পাল, দ্বিতীয় কোচবিহারের তুষার দেবনাথ, তৃতীয় আরামবাগের রাজর্ষি অধিকারী।
মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে, ৭০ দিনের মাথায়। আর পরীক্ষা শেষের ৫o দিনের মাথায় বুধবার প্রকাশিত হল এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। এবার রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় বক্সিরহাট হাই স্কুলের ছাত্র তুষার দেবনাথ প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।
তুষার দেবনাথ এর বাবা তপন দেবনাথ পেশায় সবজি বিক্রেতা। সংসারে আর্থিক অনটন, সর্বস্ব দিয়ে ছেলেকে পড়িয়েছেন। তার পড়াশোনায় সাহায্য করেছে স্কুলের শিক্ষকরা, বিনে পয়সায় টিউশন করিয়েছেন তারা, কেউ আবার কিনে দিয়েছেন বই। একচিলতে ঘরে থাকেন বাবা-মা ২ ভাই। তুষারের রেজাল্ট শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। অঞ্জনা দেবনাথ বলেন, 'এই ঘরে বৃষ্টি পড়ে। বই ঢাকতে হয়। আমি গর্বিত এই রকম ছেলে জন্ম দিয়েছি।'
মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তুষার। ব্যাঙ্গালোর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে পড়তে চায় সে। এর আগে ২০২৩ এর মাধ্যমিকে নবম হয়েছিল তুষার। তাঁর কথায়, 'এটা আমার জন্য অপ্রত্যাশিত ফলাফল। আশা করেছিলাম ভাল রেজাল্ট করব। তবে এটা আশা করিনি। খুবই ভাল লাগছে।
বুধবার রেজাল্ট ঘোষণার সময় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরের ফলাফল সব থেকে ভাল হয়েছে। কোভিডকালের পর , ভাল ফল। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রকাশিত মেধা তালিকা অনুযায়ী, প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন ৭২ জন পড়ুয়া। ২০২৪-এ পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশ, এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৯০.৭৯ শতাংশ। ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন ৪৫.৩৮ শতাংশ পড়ুয়া। ৯০ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন ১.৬৯ শতাংশ পড়ুয়া। অর্থাৎ, ৫৫ শতাংশ পরীক্ষার্থীই নম্বর পেয়েছেন ৬০ শতাংশের নীচে।






















