Bank Privatisation Protest: ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ, লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি কর্মী সংগঠনগুলির
ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেই লাগাতার ধর্মঘটে নামবে ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলির ফোরাম। সোমবার নিউ টাউনে এক বৈঠকে ব্যাঙ্ক ট্রেড ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস বা ইউএফবিইউ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রুমা পাল, কলকাতা: গত পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেট বক্তৃতায় আরও দু’টি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলির ফোরাম সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানালেও অনড় কেন্দ্র। এই অবস্থায় কলকাতায় এক বৈঠকের পর ফোরামের হুঁশিয়ারি, সরকার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেই লাগাতার ধর্মঘটে নামবে তারা।
ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেই লাগাতার ধর্মঘটে নামবে ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলির ফোরাম। সোমবার নিউ টাউনে এক বৈঠকে ব্যাঙ্ক ট্রেড ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস বা ইউএফবিইউ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত পয়লা ফেব্রুয়ারি তাঁর বাজেট বক্তৃতায় আরও ২টি বেসরকারি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এই নিয়েই কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত বেধেছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের। শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সরকারকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলেছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সর্বভারতীয় সংগঠন। কিন্তু সরকার তা মানেনি। বাজেটে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তার বিরোধিতায় গত সোমবার থেকে দুদিনের দেশজোড়া ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেয় ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটও হয়েছে। ধর্মঘট শুরুর আগের দু’দিন ছিল শনি ও রবিবার। তার মধ্যে ১৩ মার্চ মাসের দ্বিতীয় শনিবার পড়ায় এমনিতেই বন্ধ ছিল ব্যাঙ্ক। রবিবার হওয়ায় ১৪ মার্চও ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। ফলে মাসের মাঝখানে চারদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন গ্রাহকরা। এখনও সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখালে আবার লাগাতার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি। সবমিলিয়ে ভোটের মরসুমে ব্যাঙ্ক পরিষেবা নিয়ে শঙ্কায় গ্রাহকরা। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। বহু জায়গায় এটিএমে পাওয়া যায়নি টাকা। আন্দোলনকারী ব্যাঙ্ক কর্মীদের দাবি, শুধুমাত্র তাঁদের কর্মসুরক্ষার স্বার্থে এই ধর্মঘট নয়, সাধারণ মানুষের কষ্টের সঞ্চয়ের সুরক্ষাও এর সঙ্গে জড়িয়ে।
ধর্মঘট চলাকালীন এসবিআই অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বেঙ্গল সার্কলের সাধারণ সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘কোনও রাস্তা তৈরি হওয়ার সময় মানুষ কয়েকদিনেরক জন্য সমস্যায় পড়ে। এক্ষেত্রেও তাই। এখন হয়তো কয়েকদিনের অসুবিধা, কিন্ত বেসরকারিকরণ না আটকালে সব মানুষকে ভুগতে হবে ৷’’ অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত বলেন, ‘‘আমরা তো দুদিনের ধর্মঘট করলাম। এরপরেও যদি সরকারের টনক না নড়ে তাহলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা স্তব্ধ। দরকারে বৃহত্তর আন্দোলন। কৃষক আন্দোলনের ধাঁচে আন্দোলন। লাগাতার ধর্মঘটের ভাবনা ৷’’