এক্সপ্লোর
Advertisement
পঞ্চম শেষেও অশান্তি, ‘আক্রান্ত’ বিরোধী এজেন্ট, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার ৩৩টি আসনে ভোট শেষের পর একদিনও কাটল না। একের পর এক জায়গায় সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রীতিকুমার রায় সোমবার ভোটে সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। তাঁর দাবি, সোমবার রাতেই বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। বাড়ির জানলা-দরজা লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটের টুকরো। শেষমেশ দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকতে না পারলেও অধ্যাপক প্রীতিকুমারের মনে ঢুকে গিয়েছে ভয়। বাড়িতে পরিবারকে রেখে তো রোজ বেরোতে হয়। কখন কী হয়!
বরানগরের সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্ট সোহেল খানের অবস্থা তো আরও খারাপ। সোহেলের দাবি, ভোটের আগে থেকেই স্থানীয় তৃণমূলকর্মী শঙ্কর রাউত ও তাঁর শাগরেদরা বাড়িতে এসে শাসিয়ে যান। হুমকি দেন, সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্ট হলে হাত-পা কেটে দেওয়া হবে। কিন্তু, তারপরও সোমবার বুথে যান সোহেল। তাঁর দাবি, শঙ্কর রাউতের নেতৃত্বেই সেসময় তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তছনছ করে দেওয়া হয় জিনিসপত্র। লকার ভেঙে লুঠ করা হয় নগদ টাকা। বুথ থেকে ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা সোহেলকেও তাড়া করে বলে অভিযোগ। কোনওমতে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। তবে তারপর থেকে বাড়ি তো দূরের কথা, ভয়ে এলাকাতেই ঢুকতে পারছেন না সোহেল।
তবে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তৃণমূলকর্মী শঙ্কর রাউতের দাবি, তিনি এব্যাপারে কিছু জানেনই না।
শুধু সিপিএম এজেন্টদের ওপর হামলাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও বিরোধীদের পার্টি অফিস ভাঙচুর, কোথাও বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। সব ঘটনাতেই অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। । প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
কড়েয়া-কদম্বগাছি স্টেশনের কাছে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সজল দে-র দোকানে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা দোকান! মঙ্গলবার সকালে সোদপুরের ঈশ্বর চ্যাটার্জি রোড ও সরকারি আবাসন চত্বরে সিপিএমের দু’টি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। উদয়নারায়ণপুরে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্ট হওয়ায় আমতায় তিন সিপিএম কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর। ডোমজুড়ের কলোরা গ্রামে বেশ কয়েকজন সিপিএম সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দেওয়াতেই হামলা। পাঁচলার বেলডুবি-জলাকান্দুয়া গ্রামে সিপিএম কর্মী নাসির মল্লিকের বাড়িতে ভাঙচুর। হাওড়ার সালকিয়ার বামুনগাছির বি রোডে সিপিএম কর্মী উত্পল দত্তের বাড়িতে ভাঙচুর।
এ তো গেল হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার কথা। মুর্শিদাবাদে তো ভোট শেষ হওয়ার ৫ দিন পরও অশান্তি অব্যাহত। জেলার ভগবানগোলায় কংগ্রেস কর্মীদের ধারাল অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে মারধর। জখম চার। কংগ্রেসের দাবি, চতুর্থ দফার ভোটে বুথ দখল রোখার চেষ্টা করাতেই এই হামলা। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ায় মারধর দলীয় কর্মীকে। কান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, এই সব ঘটনাতেই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
নির্বাচন ২০২8 (Elections) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement