Panchayat Election Result 2023:'বাংলায় আগে ৩৫৫ ধারা জারি করা হোক', এবার সরব জন বার্লাও
BJP MP John Barla:শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিক ও রবিশঙ্কর প্রসাদের পর এবার বিজেপি সাংসদ জন বার্লার মুখেও ৩৫৫ ধারা জারির আর্জি। বললেন, 'বাংলায় আগে ৩৫৫ ধারা জারি করা হোক।'
কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ও রবিশঙ্কর প্রসাদের (Ravi Shankar Prasad) পর এবার বিজেপি সাংসদ (BJP MP John Barla) জন বার্লার মুখেও ৩৫৫ ধারা জারির আর্জি। বললেন, 'বাংলায় আগে ৩৫৫ ধারা (Article 355) জারি করা হোক। ৩৫৫ ধারা জারি হলে ফের ভোট হবে।' পাল্টা বিজেপিকে নিশানা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের। তাঁর কথায়, 'বাংলায় হিংসা না চাইলে সকলের আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'
কী বললেন বিজেপি সাংসদ?
জন বার্লা বললেন, 'আমরা চাইছি, আগামীদিনে ফের নির্বাচন হোক। তবে ভোটের আগে ৩৫৫ ধারা লাগু হোক। তবেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। না হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এঁরা সকলেই বিক্রি হয়ে গিয়েছেন।' পাল্টা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যদি রাজধর্ম পালন করেন এবং সত্যিই চান যে বাংলায় কোনও হিংসা না হোক, তা হলে সকলের আগে শুভেন্দু অধিকারীকে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।' শান্তনু মনে করাচ্ছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাই নির্বাচনের আগে দাবি করেছিলেন যে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে ৩৫৫ ধারা লাগু করা যায়। একই সঙ্গে সুকান্ত মজুদারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন শান্তনু। তৃণমূল সাংসদের দাবি, রাজ্য বিজেপি সভাপতিও ভোটের আগে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, 'যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না, সেখানে অস্ত্র তুলে নিয়ে আমরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা পালন করব।' এবার পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকেই তুমুল হিংসার অভিযোগ শোনা গিয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে যা আজ-ও থামেনি। বিরোধীদের দাবি, এই অশান্তির নেপথ্য কারিগর তৃণমূল। অন্য দিকে, শাসকশিবির প্রধানত আঙুল তুলেছে বিজেপির দিকে। ঘটনাচক্রে এদিনই আবার শুভেন্দু অধিকারীর জেলা বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে এক বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে।
কী শোনা যায়?
স্বয়ং বিরোধী দলনেতার জেলায় জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূলে যোগ দিতে চাপের অভিযোগ ওঠায় তুমুল শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছেন জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের। পাঁশকুড়ার (Panskura) কেশাপাট এবং মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ জন বিজেপি সদস্যকে এই মর্মে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আঙুল উঠেছে তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা কোষাধ্যক্ষ জগদীশ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মানেননি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখে কুলুপ জেলা কোষাধ্যক্ষের।
আরও পড়ুন:'বিরোধীশূন্য হওয়াটা শাসককে অসুবিধেই করে' পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মুখ খুললেন শোভন