Murder Charge Remark: 'ডাক্তার কড়া ওষুধ দেন ভালোর জন্যই', মাদ্রাজ হাইকোর্টের সমালোচনা প্রসঙ্গে কমিশনকে সুপ্রিম কোর্ট
'সংবাদমাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রকাশ হওয়া উচিত', বলেও কমিশনকে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত
নয়াদিল্লি: কমিশনকে খুনির সঙ্গে তুলনা করায় মাদ্রাজ হাইকোর্টকে চ্যালেঞ্জ মামলায় সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা কমিশনের। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, হাইকোর্টের সমালোচনাকে ডাক্তারের কড়া ওষুধ হিসেবে দেখা উচিত। সবাই জানে ভালোর জন্যই ওষুধ দেওয়া হয়।
'দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিষ্ঠান। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী আপনারাই।' গত ২৬ তারিখ এভাবেই নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এমনকী, সঠিক পদক্ষেপ না করলে ভোট গণনা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সেন্থিলকুমার রামমূর্তির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অথচ দুঃখের বিষয়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেই, এই গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে। একজন নাগরিক বেঁচে থাকলে তবেই, তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত থাকা এবং বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। বাকি সব কিছু তারপর।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই সমালোচনার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এদিনের শুনানিতে কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, অতিমারীর মধ্যেও সুষ্ঠু নির্বাচন করার সবরকম প্রচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা সবপক্ষের পরামর্শকেও স্বাগত জানিয়েছি। চেষ্টা করেছি, উন্নত পরিষেবা দেওয়ার। তাই বলে, তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই এধরনের মন্তব্য অনভিপ্রেত।
তিনি যোগ করেন, হাইকোর্টের মন্তব্যের পর কমিশনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হচ্ছে।মাদ্রাজ হাইকোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন। কঠিন সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা কঠিন বিষয়।
আদালতে কমিশন জানায়, তারা নির্বাচন পরিচালনা করে, সরকার তাদের হাতে থাকে না। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ২ লক্ষ মানুষের সভা করেন, আমরা গুলি চালাতে পারি না, সর্বোচ্চ আদালতে মন্তব্য কমিশনের আইনজীবীর।
এই প্রেক্ষিতে, ৫০০ লোকের বেশি জমায়েতের নিষেধাজ্ঞা আগে দেয়নি কেন কমিশন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। বাংলার পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত, দাবি কমিশনের আইনজীবীর।
যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানায়, হাইকোর্টের সমালোচনাকে ডাক্তারের কড়া ওষুধ হিসেবে দেখা উচিত। সবাই জানে ভালোর জন্যই ওষুধ দেওয়া হয়। বেঞ্চ বলে, এটা মাথায় রাখতে হবে, হাইকোর্ট স্রেফ বিচার ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গই নয়, তারা বাস্তব চিত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
পাশাপাশি, বিচারপতিদের মৌখিক পর্যবেক্ষণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া অনুচিত বলেও আবেদন করা হয় কমিশনের তরফে। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা কমিশনকে বলেন, সংবাদমাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রকাশ হওয়া উচিত। বেঞ্চ বলে, সংবাদমাধ্যমকে রোখা সম্ভব নয়। উচ্চ আদালতে কী ঘটছে, সেই সম্পর্কে খবর পরিবেশন করার অধিকার রয়েছে সংবাদমাধ্যমের।