Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে সিপিএমের প্রতীকে লড়ার সিদ্ধান্ত শালবনির একদা বিশ্বস্ত তৃণমূল সৈনিকের
Paschim Medinipur:২৫ বছর ধরে তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিক। দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন বিধায়ক জুন মালিয়া।
শালবনি: ২৫ বছর ধরে তৃণমূলের (TMC) বিশ্বস্ত সৈনিক। দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন বিধায়ক জুন মালিয়া (TMC MLA June Malia। তৃণমূলের সেই দাপুটে নেতা, সুকুমার ওরফে চণ্ডী ঘোষই এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে সিপিএমের (CPM) প্রার্থী হয়েছেন।
কী জানা গেল?
মেদিনীপুর সদরের কর্ণগড় ১০ নম্বর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন সুকুমার ওরফে চণ্ডী ঘোষ। টিকিট না দিয়ে তৃণমূল বেইমানি করেছে, তাই সিপিএমের হয়ে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত, দাবি করলেন সুকুমার। যদিও মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া সে কথা মানতে চাননি। তাঁর মতে, পুরনোদের যাঁদের ভাবমূর্তি ভাল নয়, তাঁদের সরিয়ে এবার নতুনদের আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার পাইটা ২ নং জিপির একটা আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি তৃণমূল। আবার শ্যামসুন্দর জিপি-র একটি আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ায় সেখানেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় সিপিএম। এরকমই উলটপুরাণ কাণ্ড ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়নাতে। রায়না ১ ব্লকের শ্যামসুন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৮ নম্বর বুথ (পঞ্চায়েতের সাত নম্বর আসন)-টি অনগ্রসর জাতিদের জন্যে সংরক্ষিত রয়েছে। এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল চাঁদ মহম্মদ মল্লিককে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে জাতিগত শংসাপত্র তাদের প্রার্থী জমা দিতে পারেনি।শনিবার মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পরে তা বাতিল হয়ে যায়। ওই আসনে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে যেহেতু রয়ে যায় সিপিএমের ইসমাইল মোল্লা, তাই তিনি জয়ী হয়ে যান। শুধু ওই পঞ্চায়েত নয়, রায়না ২ ব্লকের পাইটা ২ পঞ্চায়েতের এক নম্বর আসনেও (বুথ নম্বর: ১৯১) সিপিআইএম প্রার্থী দিলেও, শাসকদল তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধী দল কেউই প্রার্থী দিতে পারেনি। এই আসনটি অনগ্রসর শ্রেণির মহিলাদের জন্যে সংরক্ষিত ছিল। এই বুথে সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে সবিতা মাথুর একা থেকে যান। শাসকদলই প্রার্থী দিতে পারেনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, যদি নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তাহলে লুটেরাদের হঠিয়ে জনগণের পঞ্চায়েত গঠনের যে আওয়াজ গ্রামে গ্রামে উঠেছে, তাতে তৃণমূল কোনও প্রার্থীই পেতো না। অনেকে তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে চলে গেছে। গ্রামে তৃণমূল করতে লজ্জা পাচ্ছে।' বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের দাবি, সিপিএমকে তৃণমূল পেশ করছে বাংলায় বিজেপিকে আটকানোর জন্য।উন্নয়ন যদি হয়ে থাকে, তাহলে প্রার্থী হয়নি কেন ? আসলে নেতাদের উন্নয়ন হয়েছে, তাই নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণেই প্রার্থী দিতে পারেনি। রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, 'খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি কী কারণে প্রার্থী দিতে পারেনি।'
আরও পড়ুন:চেক লেখার সময় এই কাজটি করলে মুহূর্তে ফাঁকা হতে পারে অ্যাকাউন্ট!