(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Panchayat Election 2023: 'একসঙ্গে এত কোম্পানি দেওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রের', একাধিক দফায় ভোটের দাবি সুকান্তর
Sukanta on Central Force: এক দফায় নয়, একাধিক দফায় পঞ্চায়েত ভোট চান রাজ্য বিজেপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যুতে কী প্রতিক্রিয়া সুকান্তর ?
কলকাতা: রাজ্যে একুশের বিধানসভায় দীর্ঘ দফার ভোটে সরব ছিল শাসক দল। কিন্তু উপনির্বাচনগুলিতেই দেখা গিয়েছিল উলটপুরাণ। যেখানে একদফাতেই একের পর এক কেন্দ্রে হয়েছিল ভোট। যা নিয়ে সেবার আপত্তি ছিল গেরুয়া শিবিরের। আশঙ্কা ছিল জয়ের প্রভাব পড়বে পরের ভোটেও। শেষমেষ বিপুল জয় এসেছিল শাসক শিবিরে। এদিকে এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে পট বদল পশ্চিমবঙ্গে। এক দফায় নয়, এদিন একাধিক দফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat ELection 2023) চান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
এদিন তিনি বলেন, 'একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দেওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রের। কোনও সরকারই একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দিতে পারবে না। গতবারে ৫ দফায় ভোট হয়েছিল, এবারও একাধিক দফায় ভোট হোক।' প্রসঙ্গত, কোর্টে পরপর ধাক্কা খেয়ে ২২ কোম্পানি বদলাল ৮০০ কোম্পানিতে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন । ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি কমিশনের । হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েকদিন ধরে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিরামহীন আইনি লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। তবে, কোথাও কোনও সুরাহা পায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। এরপর গতকালই বাহিনী নিয়ে কমিশনকে কার্যত গাইডলাইন বেঁধে দেয় হাইকোর্ট। বাতিল করে দিল নামমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কমিশনের 'চাল'।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিষয়টা হচ্ছে, মহামান্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, তাঁরা বলেছিলেন ২০১৩ সালকে, মান্যতা দিয়ে তার থেকেও বেশি অ্যারেজমেন্ট করতে হবে কেন ? তার কারণ হচ্ছে ২০১৩ সালে, বুথের যে সংখ্যা ছিল, এখন বুথের সংখ্যা হয়েছে ৬১ হাজার। তখন বুথের সংখ্যা এত ছিল না। বুথের সংখ্যা অন্তত মিনিমাম কয়েক হাজার বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, ভোটার সংখ্যা, ২০১৩ থেকে ২০২৩ এ, অন্তত এক-দেড় কোটি ভোটার বেড়েছে এই ১০ বছরে।
শুভেন্দু আরও বলেন,' তৃতীয়ত ল্য অ্যান্ড অর্ডারের সিচ্যুয়েশন, ২০১৩ সালে যা ছিল, এখন তা খারাপ পরিস্থিতি। ২০১৩ থেকেও ভাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করার নির্দেশ ছিল।' বিষয় রয়েছে আরও একাধিক। শুভেন্দু আলোকপাত করে আরও বলেন,' ২০১৩ সালে পরে তিন দফা ছিল, পরে প্যারা মিলিটারি দিতে না পারার জন্য, ওটাকে পাঁচ দফায় করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবারে একদফাতে..কোম্পানির সংখ্যাটা ফ্যাক্টর নয়, প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ চাইছে, যেটা সুপ্রিম কোর্টও সিলমোহর দিয়েছে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট।'
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। শুধু তাই নয়, রাজ্য়পালও নাকি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না করে নবান্নে ফেরত পাঠিয়েছেন। যদিও এদিন সেই দাবি নাকচ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও ইতিমধ্যেই ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।