(Source: Poll of Polls)
Ambarish Bhattacharya on Durga Puja: দেশের বাইরে থাকলেও আমি পুজোর গন্ধ পাই: অম্বরীশ
Ambarish Bhattacharya on Durga Puja Exclusive: 'পুজো মানে আমার কাছে নস্ট্যালজিয়াও। আমার ছোটবেলার পুজো মানে বাবার সঙ্গে পাড়ায় থিয়েটার করা, রাত জেগে স্টেজ রিহার্সাল'
কলকাতা: এবার পুজো বোধহয় বাংলায় থাকা হবে না তাঁর.. কাজের সূত্রেই। তবে এই অভিজ্ঞতা প্রথম নয়। এর আগে একাধিকবার পুজোয় বাইরে থেকেছেন তিনি। পুজোর কলকাতাকে মিস করেন না? উত্তরে সেই অভিনেতা হাসতে হাসতে বললেন... 'পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন... আমি পুজোর গন্ধ পাই'। ঠিক কেমন এই পুজোর গন্ধ? এবিপি লাইভকে (ABP Live) সেই অভিজ্ঞতা শোনালেন অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য (Ambarish Bhattacharya)।
পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ছবি রক্তবীজ (Roktobeej)। তাছাড়া আলাদা কী পরিকল্পনা রয়েছে এইবছর? অম্বরীশ বলছেন, 'পুজোয় মূলত বাঙালি যে তিনটে জিনিস করে, সেগুলো আমি সারাবছরই করতে থাকি। এক, খাওয়া-দাওয়া, দুই, নতুন জামা আর তিন, বেড়াতে যাওয়া। এই ৩টে জিনিস আমি সারাবছরই করতে থাকি। সারাবছর আমি ভালমন্দ খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকি। নতুন জামাকাপড় আমায় সবসময় কিনতে হয়, কারণ আমার মাপের জামাকাপড় পাওয়া যায় না। তৃতীয়ত, আমার কাছে শ্যুটিং মানেই তো ঘুরতে যাওয়া। তার বাইরেও অবশ্য ঘুরতে যাই। ফলে পুজোয় এই তিনটের কোনোটাই আমি করি না।'
তাহলে? অম্বরীশ বলছেন, 'এবার পুজোয় আমার বিদেশে থাকার কথা, তবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। তবে আমি পুজোর এর আগেও বাইরে থেকেছি। সলিল চৌধুরী একটা গান লিখেছিলেন.. 'আয় রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে।' উনি একমাত্র যিনি পুজোকে গন্ধ দিয়ে চিনিয়েছেন। আসলে গন্ধটা থাকে আমাদের মগজে। আমি কিন্তু বিশ্বাস করি, পুজোর একটা গন্ধ থাকে। পুজোর কয়েকটা দিন আমি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থেকেছি, সকালে উঠে যখন মনে হয়েছে সপ্তমী, আমার নাকে একটা পুজোর গন্ধ ভেসে এসেছে। সেই গন্ধটা বেলপাতা, ধুনুচি, ভোগ.. সব মিলিয়ে একটা গন্ধ। যেটা আসলে আমার মগজে থাকে। এভাবেই আমি পুজোকে উপভোগ করি।'
পুজোর সঙ্গে তো জড়িয়ে থাকে ছোটবেলার স্মৃতি। অম্বরীশ বলছেন, 'পুজো মানে আমার কাছে নস্ট্যালজিয়াও। আমার ছোটবেলার পুজো মানে বাবার সঙ্গে পাড়ায় থিয়েটার করা, রাত জেগে স্টেজ রিহার্সাল। মণ্ডপে যে ভোজ হত, সেখানে পরিবেশন করতে গিয়ে খেয়ে ফেলতাম আরও বেশি। প্রত্যেকবার একটা বেগুনি দেওয়ার সময় আরেকটা বেগুনি তুলে নেওয়া... এই সারল্য এখন হারিয়ে গিয়েছে। পুজোর চারটে দিন আমি স্মৃতিমেদুর হয়ে থাকি। প্রত্যেক মুহূর্তে আমার মনে পড়ে আমার ছোটবেলার মানুষদের.. যাঁরা আমায় ঘিরে থাকতেন।'