Devlina Kumar Exclusive: আমার হাতের কষা মাংস গৌরবের সবচেয়ে প্রিয়: দেবলীনা
'কী রান্না পারো'-র উত্তরে তাঁর সলজ্জ জবাব, 'ম্যাগি বানাতে পারি'। তবে এ কেবল পর্দার গল্প, বাস্তবটা এক্কেবারে আলাদা। অভিনয় থেকে ঘরকন্যা, সবকিছুই সামলাতে সিদ্ধহস্ত তিনি। দেবলীনা কুমার।
কলকাতা: 'কী রান্না পারো'-র উত্তরে তাঁর সলজ্জ জবাব, 'ম্যাগি বানাতে পারি'। তবে এ কেবল পর্দার গল্প, বাস্তবটা এক্কেবারে আলাদা। অভিনয় থেকে ঘরকন্যা, সবকিছুই সামলাতে সিদ্ধহস্ত তিনি। দেবলীনা কুমার। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'।
১৭ দিন পাহাড়ের কোলে চলেছে শ্যুটিং। সঙ্গে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee), অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় (Arpita Chatterjee), তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tanusree Chakraborty), রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, কৌশিক সেনের মত সিনিয়র অভিনেতা, কেমন করে সময় কাটত? দেবলীনা বলছেন, 'সবাই যেন পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছিল। আমি খুব ইনস্টাগ্রাম করি, রিল বানাই। কিন্তু ওখানে সবাই এত গল্প করত, ফোন দেখার সময়ই পেতাম না। শট শেষ হয়ে গেলেও কেউ ঘরে ফিরে যেতেন না। সবাই একসঙ্গে বসে আড্ডা মারতেন, গল্প করতেন। মোবাইল দেখার সময়েই পেতাম না আমি। আমরা সবচেয়ে বেশি অবাক হতাম অপুদাকে (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) দেখে। ওঁর ঘরের ব্যালকনিতে আমাদের আড্ডার আসর বসত। আগেরদিন হয়তো অনেক রাত পর্যন্ত গল্প হয়েছে। অপুদার দেরিতে কল টাইম, আমাদের তার আগে। আমরা সবাই সেটে পৌঁছে দেখতাম, অপুদা সবার আগে এসে বসে আছেন। এত সিনিয়র একজন অভিনেতা, অথচ প্রতিটা কাজের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত থাকেন উনি সেটা সত্যিই শেখার।'
আরও পড়ুন: প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে একজন নারী থাকে, এই কথাটা আমি বিশ্বাস করি : খরাজ
পর্দায় কেবল ম্যাগি রান্না করতে পারেন দেবলীনা। বাস্তবে কোন রান্নাটা সবচেয়ে ভালো করেন তিনি? একটু হেসে অভিনেত্রী উত্তর দিলেন, 'আমার নিজের বানানো সবচেয়ে প্রিয় পদ হল মাটন কারি। মানে বাঙালির কষা মাংস। গৌরবেরও (গৌরব চট্টোপাধ্যায়) নাকি ওটাই সবচেয়ে ভালো লাগে। যেদিন বাড়িতে কষা মাংস হয়, সেদিন একটু বেশিই খেয়ে ফেলি।'
'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা' একটা যৌথ পরিবারের গল্প বলে। নিজে যৌথ পরিবারে কতটা বিশ্বাস করেন দেবলীনা? অভিনেত্রী বলছেন, 'যখন বাড়িতে কোনও বাচ্চা থাকে, খুব মনে হয় যৌথ পরিবার থাকাটা জরুরি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, দূরে থেকেও সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা যায়। যদি বছরে মাঝেমধ্যে সবাই একসঙ্গে দেখা করে সময় কাটানো যায়, আমার মনে হয় পরিবারের সম্পর্কগুলো আরও দৃঢ় হয়।'