Samaresh Majumdar Demise: শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল সমরেশ মজুমদারের
Samaresh Majumdar Last Rites: সমরেশ মজুমদারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঢল।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumdar passed away)। বেসরকারি হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে মৃত্যু হল সমরেশ মজুমদারের। 'কালপুরুষ' (Kalpurush), 'কালবেলা'র (Kalbela) স্রষ্টা সমরেশ মজুমদারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে এদিন নামে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঢল। শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে। সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
সম্পন্ন হল শেষকৃত্য
সোমবার সন্ধ্যায় প্রয়াণ ঘটে সমরেশ মজুমদারের। মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সকলে। শেষ শ্রদ্ধা জানান ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, শমীক ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিম, বিমান বসু ও কংগ্রেস নেতারা। সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে বাংলায় ট্যুইট করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
১৯৪২ সালের ১০ই মার্চ,জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সমরেশ মজুমদার। ডুয়ার্সের চা বাগানে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কাল কেটেছে। ১৯৬০ সালে আসেন কলকাতায়। প্রথমে স্কটিশ চার্চ কলেজ ও পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। ছোট থেকেই সাহিত্যের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল। ছাত্রজীবন থেকে তা ভালোবাসায় পরিণত হয়। ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস 'দৌড়'। এরপরই একের পর এক মন ছুঁয়ে যাওয়া উপন্য়াস। সাতকাহন, তেরো পার্বণ,স্বপ্নের বাজার, উজান, গঙ্গা।শুধু উপন্য়াসই নয়, ছোটগল্প থেকে ভ্রমণকাহিনি... কিশোর উপন্যাস থেকে গোয়েন্দাকাহিনী।'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া মাত্র সাড়া ফেলে 'উত্তরাধিকার' উপন্য়াস। তাঁর কলমে যেমন উঠে এসেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। তেমনই ভালবাসার জন্য হাহাকার।
আরও পড়ুন: Summer Sunscreen Benefit : সানস্ক্রিন কি আদৌ রোদের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায় ?
জানা গিয়েছে, বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ অ্যাপেলো হাসপাতালে সাহিত্যিকের জীবনাবসান হয়। তবে হাসপাতালের শেষ মুহূর্তে আর মন টিকছিল না। তবে মনে ছুঁয়ে গিয়েছিল কোনও অনুভূতি? কোনও না বলা কথা। আজীবনকাল যিনি বাঙালিকে কালবেলা, কালপুরুষের মত একের পর সৃষ্টিতে ভরিয়ে রেখেছিলেন, শেষ মুহূর্তে তিনি বাড়িতে ফিরতে চেয়েছিলেন। যেখানে সৃষ্টির মাঝেই শান্তি আছে। কিন্তু ফেরা হল না। মেয়ের কাছে চকোলেট খাওয়ারও আবদার করেছিলেন। এক সমুদ্র আফসোস নিয়ে মেয়ে বললেন, 'বাবা চকোলেট খেতে চেয়েছিলেন, নিয়েও এসেছিলাম, কিন্তু কী আর করা যাবে।' ততক্ষণে সব শেষ। সে ইচ্ছে হয়তো রয়ে গেল, দিনের আলোর গভীরে, রাতের তারায়।