Tollywood News: রাহুলের ওয়েব সিরিজে নতুন ভূমিকায় সত্যম, 'দাদু' হয়ে থাকছেন পরাণও!
Satyam Bhattacharyya: এই সিরিজে যে চরিত্রকে নিয়ে গল্প আবর্তিত হবে, তা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্র। একটি পরিবারের গল্প এই সিরিজে তুলে ধরবেন রাহুল। সেখানে যেমন রয়েছে মজার গল্প, তেমনই রয়েছে কিছু রহস্যও
কলকাতা: এই সিরিজের ঘোষণা হয়েছিল আগেই। আর এবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সিরিজ নিয়ে নতুন আপডেট শেয়ার করলেন সেই সিরিজেরই এক অভিনেতা। সত্যম ভট্টাচার্য্য় (Satyam Bhattacharyya)। 'দাদুর কীর্তি' (Dadur Kirti) সিরিজের শ্যুটিং শেষ হল। আর এই সিরিজে একটি নতুন ভূমিকায় পাওয়া যাবে সত্যমকে। সেটা কী? সেই হদিশও দিলেন অভিনেতা নিজেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ ছবি শেয়ার করে সত্যম লিখেছেন, 'শেষ হল আমার "দাদুর কীর্তি"- এর যাত্রা। আর শেষটাও হল নতুন বছরে, একদম নতুন কিছু দিয়ে। জীবনে প্রথম বার আমার গলা শোনা যাবে series এর একটা situational গানে। হ্যাঁ। ওই playback আর কি। পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় ও নীলায়নকে অনেক ধন্যবাদ আমায় এই সুযোগটা করে দেওয়ার জন্য। আশা করি এই যাত্রায় উৎরে গিয়েছি। আর ছবিতে স্বয়ং দাদুর থাকাটা একটা উপরি পাওনা।'
এই সিরিজে যে চরিত্রকে নিয়ে গল্প আবর্তিত হবে, তা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্র। একটি পরিবারের গল্প এই সিরিজে তুলে ধরবেন রাহুল। সেখানে যেমন রয়েছে মজার গল্প, তেমনই রয়েছে কিছু রহস্যও। 'হইচই'-এর ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে এই সিরিজ। এখনও প্রকাশ্যে আসেনি এই সিরিজ মুক্তির তারিখ। 'হইচই' যে নতুন একগুচ্ছ সিরিজের ঘোষণা করেছিল, তার মধ্যে ই সিরিজ ছিল অন্যতম।
অন্যদিকে, সদ্য 'প্রধান' ছবিটি মুক্তি পেয়েছে আর সেখানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরাণ। এই ছবির অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে এবিপি লাইভকে পরাণ বলেছিলেন, 'হোটেল থেকে শ্যুটিংস্পটে পৌঁছতে ৪০ মিনিট মতো সময় লাগত। ৩টে জঙ্গল পেরিয়ে পৌঁছতে হত। আর হালকা জঙ্গল নয়.. সেই ছবিতে যেমন দেখা যায় গাছের ফাঁক দিয়ে রোদের রশ্মি এসে পড়ছে মাটিতে.. সেটুকুই আলো। তেমন জঙ্গল। শ্যুটিং করে যখন ফেরা হত, তখন যেন অন্ধকার মুঠো মুঠো ধরা যায়। একদিন গাড়ি করে ফিরছি, নেপালি ড্রাইভার ডানদিক চেপে যেতে যেতে হঠাৎ চা বাগানের পাশে এসে গাড়ি থামিয়ে দিল। তারপরে আস্তে আস্তে ব্যাক করতে শুরু করল। একটা জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইটটা জ্বালিয়ে দিল। বলল.. 'স্যার ডানদিকে দেখুন, লেপার্ড।' আস্তে আস্তে তাকিয়ে দেখলাম দুটো চোখ জ্বলছে। আমাদের থেকে মাত্র ৬ফুট দূরে। সঙ্গে ছিল সুজন আর বিশ্বনাথ। ড্রাইভার তাড়াতাড়ি কাচ নামিয়ে ছবি তুলতে যেতেই আমি বকাবকি করে থামিয়ে দিলাম। চুপ করে বসে আছি.. দেখলাম দুটো বাচ্চা লাফাতে লাফাতে ওর কাছে এল। বাচ্চাদের নিয়ে চিতাবাঘটা ধীরে ধীরে চলে গেল। এই অভিজ্ঞতাটা ভোলবার নয়।'
View this post on Instagram