(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Shrimati Exclusive: পরিচারিকার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কটাক্ষ? খেয়া বলছেন, 'চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি'
Shrimati Exclusive: এবিপি লাইভের সঙ্গে চরিত্রের গল্পে মজেছিলেন খেয়া। বললেন, 'যখন প্রথম শ্রীমতীর চরিত্রায়ণ হল, অনেকেই ভ্রু-কুঁচকেছিলেন। পরিচারিকার চরিত্রে অভিনয়! আমি সঙ্গে সঙ্গে বলতাম, কেন নয়?
কলকাতা: পর্দায় এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছে ঝকঝকে, ঝলমলে ভূমিকায়। কিন্তু অর্জুন দত্তের (Arjun Dutta) 'শ্রীমতী' (Srimati) পরিচয় করাবে গৃহ পরিচারিকা খেয়া চট্টোপাধ্যায়ের (Kheya Chatterjee) সঙ্গে! স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee)-র সঙ্গে একটা মিষ্টি সম্পর্কের গল্প বলবেন পর্দার কাজল। কিন্তু গৃহ পরিচারিকার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কী কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল খেয়াকে?
এবিপি লাইভের সঙ্গে চরিত্রের গল্পে মজেছিলেন খেয়া। বললেন, 'যখন প্রথম শ্রীমতীর চরিত্রায়ণ হল, অনেকেই ভ্রু-কুঁচকেছিলেন। পরিচারিকার চরিত্রে অভিনয়! আমি সঙ্গে সঙ্গে বলতাম, কেন নয়? আমার মা চিকিৎসক। আমি যাঁর কাছে বড় হয়েছি তাঁর পরিচয় গৃহ-পরিচারিকা হলেও তিনিই আমার কাছে সব। মণি বলে ডাকি। মণির কাছে আমি, আমার দিদি সবাই বড় হয়েছে। অর্জুনদা যখন আমাকে কাজলের চরিত্রটা বলেছিল, তখনই মনে হয়েছিল পর্দায় এমনভাবেই সম্পর্কের গল্প বলা উচিত। পরিচারিকা মানেই তাদের কথা বলার ধরণ আলাদা, ভাবনা আলাদা এমন নয়। প্রত্যেকেই সাধারণ মানুষ। এই চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।'
আরও পড়ুন: Trina Saha Exclusive: 'বিয়ের পর জীবন বদলায়নি, বউ হিসেবে নিজেকে ১০-এ ২ নম্বর দেব'
কাজলের চরিত্রের জন্য খেয়াকে কেন বেছেছিলেন খোদ পরিচালক? অর্জুন বলছেন, 'আমি যখনই চরিত্রায়ণ করি, চাই একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে তার সাবলীল জায়গাটার বাইরে বের করতে। যাতে তাঁর অভিনয়টাকে অন্যভাবে দেখেন দর্শক। সেই ভাবনা থেকেই খেয়াকে গৃহ পরিচারিকার চরিত্রে ভাবা। ও দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে চরিত্রটাকে। আর প্রথমেই ও যতটা খুশি হয়েছিল গল্পটা শুনে, আমার মনে হয়েছিল ভুল সিদ্ধান্ত নিই নি। এই ছবিটার পরে আশা করি দর্শকদের মনে খেয়াকে নিয়ে একেবারে অন্য একটা ধারণা তৈরি হবে।'
এই গল্প কী নারীদের ক্ষমতায়নের গল্প বলবে? অর্জুন বলছেন, 'আমার কাছে নারীদের ক্ষমতায়নের আলাদা কোনও ধারণা নেই। কাকতালীয়ভাবে আমার এখনও পর্যন্ত সব কাজেরই মূল চরিত্র নারী। তবে আমার কাছে ক্ষমতায়ণ হল যে যে কাজটা করতে চায়, সেটাই করতে পারা। সেটা কেবলমাত্র গৃহবধূদের ক্ষেত্রে নয়। যাঁরা বাইরে কাজ করেন, নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।'