Anemia: ডায়েটে পালং-বিট সঙ্গে ডিম, দূরে থাকবে অ্যানিমিয়া
Anemia: অ্যানিমিয়া দূর করতে ডাক্তারের পরামর্শ তো রয়েছেই। তার সঙ্গেই উপকার মিলবে বিশেষ ডায়েট প্ল্যানেও। অ্যানিমিয়া রুখতে কী কী খাবার রাখবেন পাতে?
কলকাতা: অ্যানিমিয়া দূর করতে ডাক্তারের পরামর্শ তো রয়েছেই। ওষুধও রয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গেই উপকার হবে বিশেষ ডায়েট প্ল্যানেও। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করতে ঠিকমতো খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অ্যানিমিয়া রুখতে গেলে কী কী খাবার রাখবেন পাতে?
শাকজাতীয় সব্জি (leafy green)
শরীরে লোহার উপস্থিতি পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে খেতে হবে শাকজাতীয় খাবার। পালংশাকে ভরপুর আয়রন থাকে। ক্যালসিয়ামও থাকে প্রচুর পরিমাণে। প্রতিদিনের খাবারে রাখুন পালংশাক। পাতে রাখতে পারেন লালশাক, পুঁইশাকও।
মাংস (meat)
যেকোনও ধরনের মাংসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। রেড মিটজাতীয় মাংসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে। খেতে মুরগির মাংসও। উপকার মিলবে তাতেও। পাঁঠার মেটেও শরীরে প্রয়োজনীয় লোহার জোগান দিতে পারে।
ডিম (egg)
রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ডিম। নিয়মিত মুরগির ডিম খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের সঠিক মাত্রা রাখতে সাহায্য করে।
সামুদ্রিক খাবার (seafood)
যে কোনও ধরনের সামুদ্রিক মাছ আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং প্রয়োজনীয় একাধিক খনিজের উৎস। টুনা, ম্য়াকারেলের সঙ্গেই সহজে পাওয়া যায় এমন সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন প্রতিদিনের ডায়েটে। তার সঙ্গেই গেঁড়ি-গুগলি, ঝিনুক এবং কাঁকড়াও আয়রনের খুব ভাল উৎস।
বিনস জাতীয় খাবার
মাংস খান না এমন ব্যক্তিদের জন্যও আয়রনে ভরপুর খাবার রয়েছে। মটরশুঁটি, তরকা, রাজমা এবং বিনস ভরপুর পুষ্টি দিতে পারে। নিয়মিত এই খাবারগুলি খেলে রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের জন্য তা উপকারী। সয়াবিনও মেটাতে পারে প্রয়োজনীয় চাহিদা।
বিট
শীতকালে পাওয়া যায় এই সব্জি। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের সমাহার থাকে এতে। শীতের মরসুমে নিয়মিত খাবারের পাতে বিট রাখলে উপকার মিলবে। উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থেকেও মিলতে পারে সুরাহা।
টম্যাটো (tomato)
সারাবছরই পাওযা যায় এই সব্জি। তরকারি থেকে স্যালাড, সবজায়গায় ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রতিদিনই পাতে রাখা যেতে পারে টম্যাটো। ভরপুর আয়রন, পটাশিয়াম, বিভিন্ন ভিটামিন পাওয়া যায় টম্যাটোতে। একাধিক খনিজ উপাদান থাকায় অ্যানিমিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এই সব্জি।
বাদামজাতীয় খাবার (nut)
রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের চিনাবাদাম খাওয়া উচিত। শুধু চিনাবাদামই নয়, আখরোট, কাজুও উপকার করে। খেতে পারেন পিনাট বাটারও (peanut butter)। সঙ্গে কুমড়োর বীজও অত্যন্ত উপকারী।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: ক্লান্তি থেকে মাথাব্যথা, অ্যানিমিয়া চেনা যায় নানাভাবে
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )